॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য অঞ্চলের সংবাদপত্রের বাতিঘর, চারণ সাংবাদিক, দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের একুশে পদক পাওয়া এখন সময়ের দাবী। পাহাড়ের এই চারণ সাংবাদিককে একুশে পদক প্রদানের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার পাশাপাশি পাহাড়ের মানুষকে মূল্যায়ন করতে দাবী জানিয়েছেন রাঙ্গামাটির রাজণেতিক, সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। তারা দাবী করেন পার্বত্য অঞ্চলের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা উজ্জ্বল নক্ষত্র, পার্বত্য অঞ্চলে মানুষের সুখ, দুঃখ, আনন্দ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের পথ সুগম করা পত্রিকা দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে একুশে পদকে ভুষিত করলে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ পদকে ভ’ষিত হবে বলে মনে করেন।
এই অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ মানুষ সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও একুশে পদক কমিটির দিকে অধির আগ্রহে বসে আছেন এবারের ২০২১ সালের একুশে পদকে দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের নাম আসার অপেক্ষায়। পুরো পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলণ ঘটিয়ে একুশে পদকে পার্বত্য অঞ্চলের বাতিঘর চারণ সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের নাম ঘোষণার দাবী জানিয়েছেন।
এই দাবীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এশিয়ান ছিন্নমুল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা জাতীয় পার্টি, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপি, রাঙ্গামাটির ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন শিল্পী নিকুঞ্জ, খেলাঘর আসর, প্রিয় রাঙ্গামাটি, জীবন, রাঙ্গামাটি জেলা অটোরিক্স চালক কল্যাণ সমিতি, মাষ্টার হারাধন স্মৃতি ফাউন্ডেশন সহ রাঙ্গামাটির বেশ কিছু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এই দাবী জানান।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি, রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ একটি ইনিষ্টিটিউট তার হাত ধরে পাহাড়ের সাংবাদিকতার জন্ম। তার পত্রিকার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিটি সাংবাদিকের হাতে খড়ি। তিনি পার্বত্য অঞ্চলের অর্থনীতি, সামাজিক ও পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নেও সরকারের সহযোগিতা করে গেছেন দীর্ঘ বছর ধরে। এই অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা পথিকৃতকে একুশে পদকে ভুষিত করা হলে পাহাড়ের সব মানুষ সম্মানিত হবে। আমার পক্ষ থেকে জোর সুপারিশ থাকবে যাতে এবারের ২০২১ সালের যোগ্যতার ভিত্তিতে একুশে পদকে যাতে তার নাম অন্তভ’ক্ত করা হয়।
রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শাহ আলম বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ একুশে পদক পাওয়ার দাবীদার। তিনি দীর্ঘ বছর ধরে পার্বত্য অঞ্চলের সকল মানুষের সেবা করে এসেছেন লেখনীর মাধ্যমে। তিনি দলমত ও সাম্প্রদায়িকতার উর্দ্বে। তার লেখনীর মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে। অনেক মানুষ তার লেখনীতে উপকৃত হয়েছেন। তার একুমে পদক পাওয়া দাবী রাখে। তাই আমরা একুশে পদক কমিটির কাছে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করতে জোর দাবী জানাচ্ছি।
রাঙ্গামাটি জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ হারুন মাতব্বর বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের প্রবীন সাংবাদিক হিসাবে পাহাড়ের মানুষের জনপ্রিয় ব্যক্তি এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে একুশে পদকে ভ’ষিত করা মানেই পুরো পার্বত্য বাসীকে সম্মানিত করা। তিনি একজন প্রবীন কলম সৈনিক এবং সাদিকতার পথিকৃৎ, এমন একজন সম্মানিত মানুষকে সম্মাননা জানালে পাহাড়ের প্রতিটি মানুষ খুশি হবে। তিনি বলেন, পদক কমিটির কাছে পাহাড়ের এই প্রবীন সাংবাদিকের জন্য একুশে পদকে ভূষিত করার দাবী জানান।
এশিয়ান ছিন্নমুল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশনের মোঃ দুলাল মিয়া বলেন, একুশে পদকে ভূষিত করে পার্বত্য এলাকার সম্মান উজ্জল রাখতে প্রবীণ সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদ কে মনোনয়নে সম্মিলিত মানবাধিকার সমাজের প্রস্তাব প্রধান মন্ত্রী সমীপে আবেদন করছি।
মাষ্টার হারাধন স্মৃতি ফান্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক নন্দন দেবনাথ বলেন, পাহাড়ের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা যার হাত ধরে তার পত্রিকার মাধ্যমে আমার সাংবাদিকতার জন্ম। তার হাতে কমলে আমার শিক্ষা গ্রহণ। তিনি আছেন বলেই পত্রিকার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ তার অভাব অভিযোগ গুলো এখনো প্রধানমন্ত্রী সহ উচ্চ পর্যায়ে জানানো যাচ্ছে। মানুষের ভালো কাজ গুলো প্রধানমন্ত্রীর সহ বিভিন্ন সংস্থার চোখে পড়ছে। তার লেখনীর মাধ্যমে পাহাড়ের আনাচে কানাচে উন্নয়নশীল প্রতিষ্ঠান গুলো উন্নয়ন করার সুযোগ পাচ্ছে। মানুষ উপকৃত হচ্ছে। তিনি চট্টগ্রামের আজাদির ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালে স্মৃতি পদক পাওয়ার পাওয়ার পর থেকে পাহাড়ের মানুষ মনে করেছিলো একশে পদক অথবা স্বাধীনতা পদক যে কোন একটি তিনি পাবেন। দীর্ঘ বছর নতুন করে তার নাম আবারো আলোচনা আসায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি আশা করছি এবারের একুশে পদকের নাম ঘোষণা করলে তার নাম অবশ্যই অবশ্য থাকবে। কারণ পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতা জগতে একুশে পদকের জন্য একমাত্র তিনিই দাবী রাখেন।
রাঙ্গামাটির ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন শিল্পী নিকুঞ্জের সভাপতি দুলাল দাশ গুপ্ত ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব তালুকদার বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অনন্য ভ’মিকা রেখে চলেছেন পাহাড়ের সংবাদপত্রের বরপুত্র ও সাংবাদিকতার পথিকৃতৎ দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ। তিনি পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক চর্চাকে ধরে রাখতে তার পত্রিকার লেখনীর মাধ্যমে সহযোগিতা করে গেছেন। তার পত্রিকার মাধ্যমে শিল্পীরা সংস্কৃতি চর্চা করলে তার প্রকাশ করতে পারছে। এছাড়া নতুন কবি সাহিত্যিকদের লেখনীর মাধ্যমে নিজেদের সাহিত্য চর্চা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই মানুষটি তার জীবদশায় যদি একুশে পদকে ভূষিত হয় তাহলে পুরো পার্বত্য বাসী খুশি ও আনন্দিত হবে। তাই প্রধানমন্ত্রী ও একুশে পদক কমিটির কাছে চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে একুশে পদকে ভ’ষিত করতে দাবী জানান।
৬৬ হাজার ১৮৯টি গৃহহীন পরিবারের হাতে শনিবার ঘরের চাবি বুঝিয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, “আজকে এটাই সবচেয়ে বড় উৎসব, এর চেয়ে বড় উৎসব বাংলাদেশের মানুষের হতে পারে না।”
ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব পরিবারকে ঘরের চবি বুঝিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন ৪৯২টি উপজেলার মানুষ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন এই মানুষগুলো এই ঘরে থাকবে তখন আমার বাবা-মার আত্মা শান্তি পাবে। লাখো শহীদের আত্মা শান্তি পাবে। কারণ এসব দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই তো ছিল আমার বাবার লক্ষ্য।”
তিনি বলেন, “খুব আকাঙ্ক্ষা ছিল নিজে আপনাদের হাতে জমির দলিল তুলে দিই। কিন্তু করোনাভাইরাসের জন্য হল না।
“তারপরেও আমি মনে করি, দেশ ডিজিটাল হয়েছে বলেই এভাবে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমরা প্রত্যেক শ্রেণির জন্য কাজ করছি। সব মানুষকেই জন্য ঠিকানা করে দেবো, এটাই আমার লক্ষ্য।”
মুজিববর্ষে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণার ধারাবাহিকতায় পৌনে ৯ লাখ গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে প্রথমে ৬৬ হাজার ১৮৯টিকে ঘরের মালিকানা দেওয়া হল।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের এই ‘মুজিববর্ষ ভিলেজ’-এ ভূমিহীন-গৃহহীন ২৫টি পরিবার পেয়েছেন তাদের স্বপ্নের বাড়ি। তাদের অনেকেই বসতবাড়ি হারিয়েছিলেন ‘ঘোড়াউত্রা’ নদীর ভাঙ্গনে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এক দিনে এত মানুষকে ঘর দিতে পারলাম, এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহারা থাকবে না। যাদের গৃহ নেই তাদের ঘর করে দিতে পারা অসাধ্য সাধন করতে পারলাম, এর চেয়ে বড় পাওয়া আর হতে পারে না।”
এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি সকলের সম্মিলিত প্রয়াসেই এত বড় অসাধ্য সাধন হয়েছে।
“প্রশাসন যারা আছেন, তারা সরাসরি কাজগুলো করেছেন বলে এত দ্রুত হয়েছে। এত অল্প সময়ে এত ঘর করে দেয়া সম্ভব হয়েছে। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেছেনবিশ্বে একসাথে এত মানুষকে ঘর দেয়া নজিরবিহীন।”
শেখ হাসিনার পছন্দ করা নকশায় নির্মাণ করা হয়েছে এই প্রকল্পের বাড়ি। প্রতিটি ঘরে থাকছে দুটি শয়ন কক্ষ, একটি লম্বা বারান্দা, একটি রান্নাঘর ও একটি টয়লেট। এসব ঘরের জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা। পরিবারগুলোর কর্মসংস্থানেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
তারা শুধু ঘর নয়, সঙ্গে পাচ্ছেন ভূমির মালিকানাও। প্রত্যেককে তার জমি ও ঘরের দলিল নিবন্ধন ও নামজারিও করে দেয়া হচ্ছে। দেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে এর আগে এত মানুষকে এক দিনে সরকারি ঘর হস্তান্তর করা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বে এর আগে এক দিনে এত বেশি ঘর বিনামূল্যে হস্তান্তর করা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা আশ্রয়ণের সাথে বেদে দলিত হিজড়াদের ঘর করে করে দিয়েছি।”
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন জেলায় উপকারভোগীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন।
এ সময় জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এই ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলা হচ্ছে।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ বার্ষিকী উপলক্ষে ভূমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওতায় রাঙ্গামাটি জেলার ২৬৮টি গৃহহীন ভূমিহীন পরিবারের হাতে ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
শনিবার (২৩ জানুয়ারী) সকালে কুমার সমিত রায় মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স শেষে রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার ৬০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে পাকা ঘরের চাবি তুলে দেন। এসময় রাঙ্গামাটি জেলার অন্যান্য উপজেলা হতে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে পাকা ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেয়া হয়।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুরর রশিদের সভাপতিত্বে চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মোঃ মোদদ্াছছের হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব শিল্পী রানী রায়, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা, আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য হাজী কামাল উদ্দিন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম দফায় রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় ৬০, কাপ্তাই উপজেলায় ৩০, রাজস্থলী উপজেলায় ৬২, বরকল উপজেলায় ১৯, বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৩৫, লংগদু উপজেলায় ৩৪ ও নানিয়ারচর উপজেলায় ২৮টিসহ মোট ২৬৮টি পাকা ঘর আজ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। আর ঘর প্রতি বরাদ্দ রয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। প্রতি ঘরে দু’টি কক্ষ, একটি রান্না ঘর ও টয়লেট রয়েছে।
চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার লক্ষী চাকমা, আনন্দ চাকমা ও ললিত চাকমার হাতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘরের চাবি তুলে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, প্রকল্পের আওতায় রাঙ্গামাটি জেলায় মোট ৭৩৬টি ঘর বরাদ্ধ পেয়েছে। এর মধ্যে বরাদ্ধকৃত ঘরের প্রথম ধাপে ‘ক’ শ্রেণির (জমি নেই, ঘর নেই) ভুমিহীন ও গৃহহীন ২৬৮টি পরিবারে জন্য ঘর নির্মাণ সম্পূর্ণ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে বরাদ্দের বাকি ঘর সমূহ নির্মাণ করে তাদের বুঝিয়ে দেয়া হবে।
॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥ খাগড়াছড়িতে শীত বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে শীতজনিত রোগ। প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে। চলতি এক মাসের খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৭ থেকে ৮জন শিশু মারা গেছে বলে জানা গেছে।
ঠান্ডার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি পাহাড়ী গ্রামাঞ্চলে। এতে বিপাকে পড়ছে দুর্গম এলাকার সাধারণ মানুষেরা। ঠান্ডার প্রভাবের কারণে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশীর ভাগ শিশুরা। শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ঠান্ডা ছাড়াও শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায়। ঠান্ডায় আক্রান্ত শিশুদের বেশিরভাগের বয়স ৬ থেকে ১৮ মাস। মারা যাওয়া শিশুদের বয়স এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে বলে জানান স্থানীয়রা।
এদিকে, বাড়তি রোগীর সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ঠান্ডায় আক্রান্ত রোগের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছে ২১ শিশু।
অভিভাবকরা জানান, ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা ও জ্বর-সর্দি হচ্ছে। বেশির ভাগই ৪-৫ দিন পর্যন্ত জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। চিকিৎসা দেওয়ার পরও বাচ্চাদের সুস্থ হতে অনেক সময় গেলে যাচ্ছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, শীতের কারণে নবজাতক ও শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশী। তবে অনেক শিশু সিভিয়ার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আশংকাজনক ভাবে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। ঠান্ডা জনিত কারণে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে কোনো শয্যা খালি নেই। প্রতিদিন নতুন করে ১০ থেকে ১২ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এছাড়া বহির্বিভাগে অনেকে সেবা নিচ্ছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের নার্সিং অফিসার মেমোরি চাকমা বলেন, ঠান্ডাজণিত কারণে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। অনেক অভিভাবক সচেতন না। অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা বাচ্চাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে না। দেরি করে আনার কারণে অনেক বাচ্চাকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। আর শিশু ওয়ার্ডে জনবল সংকট থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয় বলেও জানান তিনি।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রাজেন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, শীতে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এ সময় বাচ্চাদের ঠান্ডা থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি সুষম খাবার দিতে হবে। মা করোনা আক্রান্ত হলেও মুখে মাস্ক পরে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। শিশুদের বাড়তি যত্ন নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি আরো জানান, গত এক মাসে ৭ থেকে ৮ শিশু নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। হাসপাতালে জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। একজন চিকিৎসককে পুরো ওয়ার্ডে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
কুমিল্লা প্রতিনিধি :: কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ভিরাল্লা গ্রামের অধিবাসী, দেবীদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক, সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষাগুরু আব্দুল মান্নান স্যার ১৪ জানুয়ারী ২০২১ইং দুপুর ২টায় ঢাকার একটি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্নাইলাহি রাজিউন।
মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৭ পত্র ও ২কণ্যা সহ ৯ সন্তান, নাতী নাতনী, গুণগ্রাহী, শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
ওনার ৭ পুত্র ও ২ কণ্যা সবাই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত এরা হলেন,- ডা: মো. আক্তারুজ্জান (এফ.সি.পি.এস) আমেরিকা প্রবাসী, ড. অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান জগন্নাতপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বানিজ্য অণুষদের জিন ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার মো. ওয়াহিদুজ্জামান আমেরিকা প্রবাসী, সরাইয়া আক্তার শিক্ষিকা, মো. নাসিরুজ্জামান ব্যবসায়ি, মো. আনিসুজ্জামান এম.এস.সি ব্যাঙ্কার আমেরিকা প্রবাসী, মো. শামিনুজ্জামান চাকুরি আমেরিকা প্রবাসী, শিরিন আক্তার গৃহিনী ও মো. সুমনুজ্জামান শিক্ষক।
সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ শিক্ষাগুরুর জানাযা আগামীকাল শুক্রবার ওনার সাবেক কর্মস্থল দেবীদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় এবং নিজ গ্রামের বাড়িতে জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন সম্পন্ন করা হবে।
রাঙ্গামাটি পৌর নির্বাচনে এবারও হচ্ছে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হে হচ্ছে প্রার্থী আকবর না হাবিব ?
॥ নন্দন দেবনাথ ॥ রাঙ্গামাটি পৌরসভার মেয়র প্রার্থী নিয়ে এখনো ঝুলে আছে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্ত। কে পাচ্ছে মনোনয়ন বর্তমান মেয়র আকবর না প্রাক্তন মেয়র হাবিব। এই নিয়ে রাঙ্গামাটি পৌরসভার সাধারণ মানুষের মাঝে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। এই দুই জনকে নিয়ে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপ বিভক্ত হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেক নেতাকর্মী। রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে এই দুই জনকে নিয়ে চলছে চরম উত্তেজনা। একটি পক্ষ বলছে হাবিব হবে এবারের মেয়র প্রার্থী আরেক পক্ষ বলছে আকবর হবে মেয়র প্রার্থী। তবে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে ২ জনের নাম লিখে কেন্দ্রে নাম পাঠিয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তবে কেন্দ্র থেকে আওয়ামীলীগের পক্ষে মনোনয়ন পেতে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আরো বেশ কয়েকজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছে।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছে রাঙ্গামাটি পৌর আওয়ামীগের সভাপতি মোঃ সোলায়মান বাদশা, রাঙ্গামাটি পৌর আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ মঈন উদ্দিন সেলিম, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের বড় ভাই বিশিষ্ট তেল ব্যবসায়ী মোঃ মনিরুজ্জামান মহসিন রানা সহ আরো বেশ কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে।
এদিকে রাঙ্গামাটি পৌরসভার নির্বাচনকে ঘিরে কোন ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত আসলে রাঙ্গামাটি পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আসতে পারে এমনটাই মনে করছেন সাধারণ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের একটি সুত্র জানায় রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীর সাথে রাঙ্গামাটি আওয়ামীলীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধের কারণে প্রাক্তন মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিবকেই বেছে নিতে চাচ্ছে আওয়ামীলীগের একাংশ। তবে দলের আরেকটি অংশ বলছে বর্তমান মেয়রের উপর জনগনের আস্থা রয়েছে। দলের অল্প কিছু নেতাকর্মীর কারণেই রাঙ্গামাটি পৌর নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে দ্বিধায় পড়েছে।
২০১৫ সালে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীগের সিদ্ধান্তে আকবর হোসেন চৌধুরী মেয়র প্রার্থী হলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে রাঙ্গামাটিতে দুই জন আওয়ামীলীগের প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। তার মধ্যে একজন সাবেক মেয়র ও বর্তমান মেয়র প্রার্থী মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব ও সনাতন সম্প্রদায়ের পক্ষ অমর কুমার দে। সেই সুবাদে রাঙ্গামাটি জেলায় আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাকর্মীরা বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবের অফিস ভাংচুর সহ হাবিবকে নির্বাচনী প্রচারণা ব্যাপক বাধা প্রদান করেন। পরবর্তীতে দলের নেতাকর্মীদের চাপের মুখে শেষ মুহুর্তে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের প্রার্থী আকবর হোসেনকে সমর্থন দিতে বাধ্য হয় হাবিবুর রহামন হাবিব। রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় মোঃ আকবর হোসেনকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ায়। তারপর ও তিনি বেশ কিছু ভোট পায় নির্বাচনে। অপরদেিক অমর কুমার দে’কেও নেতাকর্মীদের চাপের মুখে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে আকবর হোসেনকে সমর্থন দিয়ে বসিয়ে দেয় আওয়ামীলীগের সিনিয়ররা।
অন্যান্য দিকে আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বলেন আওয়ামীলীগের কোন ধরনের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ আবারো হারাতে পারে এই সিট। যা ২০১১ সালে পৌর নির্বাচনে ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিএনপির সাইফুল ইসলাম ভ’ট্টো মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। যার কারণে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদারকে নানা মুখী প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় বলে জানান তারা।
এদিকে রাঙ্গামাটি পৌর নির্বাচনের দামাডোল বেজে না উঠলেও রাঙ্গামাটির জেলা বিএনপি ও আঞ্চলিক রাজনৈতক দল জেএসএস বসে আছে আওয়ামীলীগ কাকে প্রার্থী দিচ্ছে সেই দিকে তাকিয়ে। আওয়ামীলীগের প্রার্থীর উপর নির্ভর করে রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপি ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জেএসএস প্রার্থী ঘোষণা করবে এমনটাই ভাবছেন তারা।
২০১৫ সালে আওয়ামীলীগের প্রার্থী মোঃ আকবর হোসেনের বড় জয়ের ন্যেপথ্যে ছিলো আওয়ামীলীগের ঐক্যবদ্ধতা। রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগ, যুবলীগ সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চষে বেড়িয়েছেন। ভোট চেয়েছেন আওওয়ামীলীগের প্রার্থী নৌকার প্রতীকের জন্য। রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা একক ভাবে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের মন জয় করার কারণে বিশাল ব্যবধানে আওয়ামীলীগের প্রার্থী আকবর হোসেনকে জয় লাভ করাতে পেরেছে।
আওয়ামীলীগের প্রার্থী জয়ের পর থেকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে সম্পর্কের টানা পোড়ান রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলকে ঘিরে আরো বেড়ে যায়। দুই দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাকর্মীদের মাঝে। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের মাঝে। অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন গুলোর মাঝে দ্বিধাবিভক্ত না থাকলেও কিছু কিছু মতপাথর্কের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সংগঠন গুলোর মাঝে এমনটাই মনে করছে আওয়ামীলীগের তৃণমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
তবে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্তের উপর তাকিয়ে আছে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের তৃণমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তেমনি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপিও রাঙ্গামাটি আওয়ামীলীগের প্রার্থী ঘোষণার দিকে তাকিয়ে আছে র্তীর্থের কারকে মতো। দল যে দিকেই সিদ্ধান্ত নেক না কেন গতবারের মতো এবারও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকছে এবারের নির্বাচনে।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটিতে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেন্ট ট্রিজার স্কুলের বিরুদ্ধে সরকারি নির্দেশনা না মেনে বাড়তি ফি আদায়ের অভিযোগ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের। বুধবার সকালে স্কুলে প্রাঙ্গাণে এই অভিযোগ তুলেন অভিভাবকরা।
নাম প্রকাশ না করার সর্তে কয়েকজন অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, গত ১৮ নভেম্বর মধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছিল এম.পি.ও ভুক্ত ও এম,পি.ও বিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি গ্রহণ করবে কিন্তু এ্যাসাইনমেন্ট, টিফিন, পুনঃ ভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন বাবদ কোন ফি গ্রহণ করনে না বা করা হলে তা ফেরত দেবে অথবা টিউশন ফি’র সঙ্গে সমন্বয় করবে। একই সঙ্গে কোন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন যেন কোন কারনে ব্যাহত না হয় সে বিষয়টি সম্পর্কে সকলকে যত্নশীল হতেও বলা হয়েছে।
কিন্তু সেন্ট ট্রিজার স্কুল কর্তৃপক্ষ সরকারি এই নির্দেশনা মানছে না বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।
মো. জহির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, যেখানে বিদ্যালয় দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল সেখানে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিল, টেলিফোন বিল, উন্নয়নের নামে আমাদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা দাবি করছে। করোনায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি উল্টো বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের উপর বাড়ড়ি টাকা চাপিয়ে দিচ্ছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।
মো. নাছের উদ্দিন বলেন বিষয়টি নিয়ে যখন বিদ্যালয় প্রধানের সাথে কথা বলি, তিনি আবেদন দিতে বলেন। আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।
এবিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তারা এবিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা জানান, সরকারি ও বে-সরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকার নির্দেশনা দিয়েছেন যেখানে টিউশন ফি ছাড়া আর কোন ফি নেওয়া যাবে না। তিনি আরও জানান, সেন্ট ট্রিজার স্কুলটিতে বাড়তি ফি নেওয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি আমরা দেখছি।
রাঙামাটির জেলা প্রশসক একেএম মামুনুর রশীদ বিষয়টি অবহিত হলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাক মো. মামুন দ্রুত বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দেন।
॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অভিবাসনের সঙ্গে জড়িতদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৬ জানুয়ারী) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “আমি অনুরোধ করব, শ্রমিক অভিবাসনের সঙ্গে যারা জড়িত, বিশেষ করে রিক্রুটিং এজেন্ট থেকে শুরু করে আমাদের মন্ত্রণালয়, এদেশের মানুষ কিন্তু মানুষ। সেইভাবে তাদের মর্যাদা দিতে হবে। তাদের যেন কোনো রকম সমস্যা না হয়।
“যারা বিদেশে যেতে চায় তাদের কর্মসংস্থান ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, তাদের নিরাপত্তা ঠিকমতো আছে কিনা, বিশেষ করে আমাদের মেয়েরা যারা যায়, তাদের নিরাপত্তার বিষয়টা সকলকেই লক্ষ্য রাখতে হবে। সেজন্য এক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যারা কর্মরত বা বিদেশে কর্মী প্রেরণে যে সমস্ত সংগঠনগুলো আছে, তাদেরকে আমি অনুরোধ করব আপনাদেরকে দায়িত্বশীলতার ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ দায়িত্বটা আপনাদের উপরে বর্তায়।”
বিদেশে গেলে অনেক অর্থ উপার্জন করা যাবে, কিছু মানুষের এমন প্রবণতার কথা উল্লেখ করে বিদেশ যাওয়ার সময় অনেকে দালালদের খপ্পরে পড়ে অন্ধকার পথে পা বাড়ায় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, “সেখানে আমি তাদেরকে বলব, আপনারা এই ধরনের পরিস্থিতির শিকার হবেন না। দালালদের খপ্পরে পড়বেন না। আমরা সমগ্র বাংলাদেশে যে ডিজিটাল সেন্টার করে দিয়েছি তারই মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধন করার সুযোগ আছে। আর এই নিবন্ধিত যারা যেখানেই কাজের সুযোগ হবে তাদেরকে সেখানে প্রেরণ করা হয়। কাজেই সেজন্য ধৈর্য ধরতে হবে।
“কিন্তু যদি আপনারা কারো প্ররোচনায় বিদেশে গিয়ে বিপদে পড়েন সেটা নিজেদের জন্য, পরিবারের জন্য খুবই কষ্টকর, খুবই ক্ষতিকর। কিছুদিন আগে আপনারা জানেন যে, লিবিয়ায় কতজনকে জীবন দিতে হল। এই পরিস্থিতির শিকার যেন আমার দেশের মানুষকে হতে না হয়।”
তিনি বলেন, “এখন আমাদের দেশে কাজেরও যেমন অভাব নেই, খাবারেরও অভাব নেই আল্লাহর রহমতে। কাজেই এখন আর সোনার হরিণের পেছনে কেউ দয়া করে অন্ধের মতো ছুটবেন না। আপনারা নিবন্ধন করে তার মাধ্যমে যান, সেটাই আমরা চাই।”
প্রবাসী কর্মীদের সামগ্রিক কল্যাণ নিশ্চিতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন সরকার প্রধান।
করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যে দেশে ফিরে আসা প্রবাসীদের কল্যাণে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তাদের হতাশ না হয়ে নিজের দেশে কাজ করতে এবং প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানান তিনি।
প্রবাসীদের সবরকম সুযোগ-সুবিধা দিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখা ও রিজার্ভ বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রবাসীদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “যারা অভিবাসী রয়েছেন, দীর্ঘদিন বিদেশে আছেন, তারা দেশে বিনিয়োগ করতে পারেন। বিনিয়োগের ব্যাপক সুযোগৃডিজিটাল ডিভাইস তৈরি করা বা ডিজিটাল যেকোনো ইকুইপমেন্টস তৈরি করা বা বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশিরা যেমন আসছেন, আমাদের প্রবাসীরাও কিন্তু আজকে দেশে এসে বিনিয়োগ করতে পারেন।”
প্রবাসীদের জন্য তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বিভিন্নভাবে আমরা সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি।”
রেমিটেন্স পাঠানোর খরচ কমিয়ে দুই শতাংশ করে সেখানে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার কথা জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, “ফলে বৈধ পথে পাঠালে টাকাটা সরাসরি আসবে।”
দেশে অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা পাঠানো সহজ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
“বিনিয়োগ যারা করবেন তাদেরও অর্থ আনা-নেওয়া এটাও সহজ করে দেওয়া হয়েছে,” বলেন শেখ হাসিনা।
সরকারের পক্ষ থেকে ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “যারা বিদেশে যাবেন, প্রবাসে যাবেন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, সমগ্র বাংলাদেশে ডিজিটাল সেন্টার। সেখানে তারা নিবন্ধন করতে পারেন।
“আর এই ব্যাংকের থেকে তাদের যখন একটা চাকরি হবে, তারা যাবেন। কোথায় চাকরি হচ্ছে, সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা, সঠিক বেতন পাবেন কিনা তাদের সেই নিরাপত্তার বিষয়টা দেখা। পাশপাশি তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে। খুব স্বল্প সুদে তাদের ঋণ দেওয়া হয়। জমিজমা বিক্রি বা বন্ধক রাখা লাগবে না।”
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকার প্রণোদনা দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই বিশেষ ব্যাংকের জন্যও আলাদা ৫০০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে, ২০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে ৫০০ কোটি টাকাসহ প্রায় ৭০০ কোটি টাকার ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি, যাতে করে প্রবাসীরা কোনো রকম সমস্যায় না পড়ে।”
প্রবাসে যারা কাজ হারিয়েছেন তাদের আর্থিক সাহয্য দেওয়া হয়েছে আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের ফেরত আনতেও সরকার বিশেষ বিমান পাঠিয়েছে বলেও জানান তিনি।
যারা বিদেশে যাবেন তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে সরকার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “সবাই যদি একটু ট্রেনিং নিয়ে দক্ষতা অর্জন করে বিদেশে যান, তাহলে অর্থ বেশি উপার্জন করতে পারবেন আবার নিজেদের চাকরির নিরাপত্তাটাও থাকবে। সেই দিকটায় আপেনাদের বিশেষ করে দৃষ্টি দিতে হবে।”
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রান্তে এই সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইন্ডিয়ান রেজিস্টার কোয়ালিটি সিস্টেম
(আই আর সি এল এ এস এস সিস্টেমস এবং সলিউশনস
প্রাইভেট লিমিটেডের একটি বিভাগ) এবং মিতি এন্টারপ্রাইজ
এর সমঝোতা স্মারক (চুক্তি) স্বাক্ষর
(১) : ক্লিং শিল্প ঃ আর্থ-সামাজিক প্রভাব।
বাংলাদেশের আর্থ – সামাজিক উন্নয়নে রিসাইক্লিং শিল্পের অবদান ব্যাপক। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় দুই লক্ষাধিক শ্রমিক এই শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত কর্মকান্ডে জড়িত। এই শিল্প থেকে সরাসরি রাজস্ব আয় প্রায় ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এর সমান পরোক্ষ মাল্টিপলট্যাক্সসহ এর থেকে আয় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এরও বেশি। আভ্যন্তরীন জাহাজ নির্মান, রিসাইক্লিং মিলস, ষ্টিলমিলস ইত্যাদি কারখানা বেশির ভাগ কাঁচামালের যোগান দেয় জাহাজ রিসাইক্লিং। এছাড়াও আসবাব, বিদ্যুৎ , বিভিন্ন কলকারখানা রপ্রচুর যন্ত্রাংশ জাহাজ রিসাইক্লিং থেকে আসে বিশেষকরে বাংলাদেশের বিরাট সম্ভাবনাময় হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং (খরমযঃ ঊহমরহববৎরহম) খাতের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আসে পুরানো জাহাজের ভেতর থেকেই। আভ্যন্তরীন জাহাজ নির্মানশিল্পের লোহাও যন্ত্রপাতির আনুমানিক শতকরা ৬০ ভাগও সমগ্র দেশের লোহার চাহিদার প্রায় শতকরা ৬৫ ভাগ আসেপ ানোভাংগা জাহাজ থেকে । দেশের সার্বিক অর্থ নির্ভীত্তে জাহাজ রিসাইক্লিং শিল্পের অবদান প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই শিল্পের মাঝে বিরাট সংখ্যক মানুষের জীবিকা, দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং জিডিপিএর প্রবৃত্তি অনেকাংশে নির্ভরশীল।
(২)
এই শিল্পের চ্যালেঞ্জসমুহ ঃ
পরিশে দুষণ, পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়গুলো যথাযথভাবে না মানার কারনে আলোচ্য শিল্প, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। উপরোল্লিখিত কারণে ২০০৯ – ২০১০ সালে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে শিপরি সাইক্লিং কর্মকান্ড প্রায় দেড় বছর বন্ধছিল; পরোবর্তিতে শর্ত সাপেক্ষে আবার চালুহয়। দেশের অর্থনীতিতে এই শিল্পের প্রয়োজনীয়তা উপলোদ্ধি করে সরকার এই ক্ষেত্রকে সর্বপূর্বে শিল্পের মর্যাদা দেয়। শিল্পমন্ত্রনালয় এর প্রচেষ্টা পরিবেশ দুষণ ও পেষাগতস্বাস্থ সুরক্ষার ক্ষেত্র সমুহ উন্নতি হলেও এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মান এর বিবেচনায় অনেক পিছিয়ে। বিগত এক দশকেইয়ার্ড গুলোর স্থাপনা, যন্ত্রপাতির ব্যবহার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে; তবে আরও অনেক দুর এগুতে হবে আন্তর্জাতিক মান অর্জনকরতে ও স্বীকৃতি পেতে।
পরিবেশগত ও পেশাগতস¦াস্থ সুরক্ষা এবং বিপজ্জনক বজর্ – ব্যবস্থাপনা, বিষয় গুলো আন্তর্জাতিক ভাবে অত্যন্ত স্পর্ষকাতর। পুরানোজাহাজ ক্রয়ের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মান রক্ষা ব্যবসায়িক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
(৩)
মিতিএন্টাপ্রাইজ ও আই.আর. ক্লাস এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর ঃ
মিতি এন্টার প্রাইজ আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একটি পরামর্ষক ফার্ম সম্প্রতি ওহঃবৎহধঃরড়হধষ অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ ঈষধংংরভরপধঃরড়হ ঝড়পরবঃরবং এর সদস্য আই. আর. ক্লাসের সাথে বাংলাদেশের শিপরিসাইক্লিং ইয়ার্ডগুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নিত করারজন্য চ্যালেঞ্জ গ্রহন করেছে।
মিতি এন্টারপ্রাইজ ২০০৯ সাল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে এবং এর চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বিগত প্রায় ২০ বছর যাবৎ“শিপ ব্রেকার্স ও রিসাইক্লারস মালিক সমিতির”উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করে আসছে। ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী ২০০৫ – ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পক্ষে ওহঃবৎহধঃরড়হধষ গধৎরঃরসব ঙৎমধহরুধঃরড়হ (ওগঙ) এর গধৎরহব ঊহারৎড়হসবহঃধষ চৎড়ঃবপঃরড়হ ঈড়সসরঃঃবব (গঊচঈ) এর ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ছিলেন; গঊচঈ এরআলোচ্য কমিটিই“ ঞযব ঐড়হমশড়হম ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈড়হাবহঃরড়হ ভড়ৎ ঃযব ঝধভব ধহফ ঊহারৎড়হসবহঃধষষু ঝড়ঁহফ জবপুপষরহম ড়ভ ঝযরঢ়ং” প্রনয়ন করেছে।
(৪)
হংকং কনভেনশনসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক মান এর প্রশিক্ষন ও সার্টিফিকেশন এর ক্ষেত্রে ওজঈখঅঝঝ সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য নাম। বাংলাদেশ, ভারতসহ সকল রিসাইক্লিংইয়ার্ড এর সার্টিফিকেশন এর দায়িত্ব ঔঅঈঝ সদস্যভুক্ত “ক্লাসিফিকশন সোসাইটি”গুলোকে প্রদান করা হয়েছে। মোট ১৩ টিসদস্য ক্লাসিফিকেশন সোসাইটির মধ্যে বাংলাদেশে কাজে লিপ্ত আছে মাত্র ৬ টি সোসাইটি। উক্ত ৬ টির মধ্যে মাত্র ৩ টি সোসাইটি শিপরিসাইক্লিং কর্মকান্ডে নিযুক্ত।
ক্লাসিফিকেশন সোসাইটির মুল কাজ শিপবিল্ডিংএর সাথে সম্পৃক্ত; জাহাজের নকশা অনুমোদন থেকে নির্মান কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত গুনগতমানের নিশ্চয়তা বিধান এর প্রধানকাজ। জাহাজ চলাকালীন সময়েও সার্ভের মাধ্যমে এর কাজ বজায় রাখে নিরাপদে চলাচল করার জন্য। শিপরিসাইক্লিং বিষয়ে নিজেদের প্রস্তুত করার ব্যাপারে মাত্র ৩ টি সোসাইটি আগ্রহ দেখিয়েছে; যেগুলো হচ্ছে ওজঈখঅঝঝ/ওহফরধ, জওঘঅ/ওঃধষু, ঘকক/ঔধঢ়ধহ. আলোচ্য ৩টির মধ্যে আবার ওজঈখঅঝঝ সর্বাগ্রে। ওজঈখঅঝঝ ইতিমধ্যে ২৩টির মত ঐড়হমশড়হম ঈড়হাবহঃরড়হ এর ঝঙঈ (ঝঃধঃবসবহঃ ড়ভ ঈড়সঢ়ষরধহপব) ইস্যু করেছে।
(৫)
বাংলাদেশ ও ভারত শিপরিসাইক্লিং এ সবচেয়ে বেশি এগিয়ে; বাংলাদেশ ও ভারত তিন চতুর্থাংশের মত জাহাজ রিসাইকলকরে থাকে; বাকী এক চতুর্থাংশ চীন, তুরস্ক ও পাকিস্থান মিলিতভাবে করে থাকে। যৌক্তিক কারনেই ভারতের ওজঈখঅঝঝ এই সেক্টরটিতে অনেক বেশি দক্ষ ও সম্পৃক্ত।
হংকং কনভেনশনের সনদ প্রাপ্তির প্রক্রিয়াটি হচ্ছে; প্রথম ষ্টেইজ ওয়ান একটি অডিট হবে এটা মুলত; হংকং কনভেনশনের আলোকে ত্রুটিগুলোকে চিহ্নিত করা। পরবর্তিতে ত্রুটিগুলো সংশোধন করে, জনবলকে প্রতিনিধি করার পর ষ্টেইজ টু বা চূড়ান্ত অডিট সফল ভাবে শেষ হওয়ার পর; গুনগত মান নিশ্চিত হবার পরই ঝঙঈ (ঝঃধঃবসবহঃ ড়ভ ঈড়সঢ়ষরধহপব) সনদ প্রদান করবে ওজঈখঅঝঝ.
২০২৩ সালেরমধ্যে বাংলাদেশের হংকং কনভেনশন বাস্তবায়নের ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা আছে। সুতরাং, রিসাইক্লিং ইয়ার্ডগুলোকে ব্যবসা চালাতে হলে হংকং কনভেনশন বাস্তবায়ন এর বিকল্প নেই। আন্তরিক হলে সামর্থো সাপেক্ষে ১২ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে একটিই য়ার্ড সনদ পাবার ক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। (খবর বিজ্ঞাপ্তি।
চট্টগ্রাম: নগরের ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস। অংশগ্রহণকারীদের মুখে মাস্ক রয়েছে।
তবে ভিড়ের কারণে সামাজিক দূরত্ব পুরোপুরি মানা কঠিন হয়ে পড়ছে।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৮টায় বের হওয়া জুলুসটি বিবিরহাট, মুরাদপুর হয়ে প্রধান সড়ক ধরে দুই নম্বর গেট, জিইসির মোড়, ওয়াসা পর্যন্ত যাবে। এরপর একই সড়ক দিয়ে আবার জুলুস জামেয়া মাঠে ফিরে আসবে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ও শুক্রবার জুমার নামাজের কারণে এবার জুলুসের রোডম্যাপ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
জুলুসে নেতৃত্ব দেন আনজুমানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, জামেয়ার অধ্যক্ষ মুফতি অছিউর রহমান আলকাদেরি প্রমুখ।
জুলুসে অংশ নিতে দূরের জেলা, উপজেলা থেকে ভক্ত ও আশেকরা দলে দলে আসতে থাকেন জামেয়া মাঠে। যেন সব স্রোত এসে মিশছে মোহনায়। জুলুসকে ঘিরে পথে পথে বিতরণ করা হচ্ছে মাস্ক। হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশক স্প্রে করে দিচ্ছেন একে অপরের হাত। জুলুসকে ঘিরে ইতিমধ্যে ব্যানার, পতাকায় ছেয়ে গেছে মুরাদপুর থেকে মাদ্রাসা পর্যন্ত পুরো এলাকা। পথে পথে দেখা গেছে তোরণ। সুললিত কণ্ঠের দরুদ, সালাম, হামদ নাতের ধ্বনিতে মুখরিত পুরো এলাকা। আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের পাশাপাশি কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবকও প্রস্তুত স্বাস্থ্যবিধি ও শৃঙ্খলা রক্ষায়।
১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় এ জুলুস হয়ে আসছে। ওই বছর নগরের বলুয়ার দীঘি খানকাহ থেকে আল্লামা তৈয়্যব শাহ (রা.) এ জুলুসের প্রচলন করেন।
গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বাংলানিউজকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও জুলুসের শৃঙ্খলা রক্ষায় আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের পাশাপাশি কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন। মুখে মাস্ক না থাকলে জুলুস বা মিলাদে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। বিনামূল্যে বিতরণের জন্য কয়েক লাখ মাস্ক রাখা হয়েছে।
জুলুস ফিরে আসলে জামেয়া মাঠে মিলাদ, জুমার নামাজ ও আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আখেরি মোনাজাতে করোনামুক্ত বিশ্বের জন্য দোয়া করা হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ কমিশনার (সিটি এসবি) মো. আবদুল ওয়ারিশ বাংলানিউজকে জানান, জুলুস উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশও রয়েছে।