বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস পালিত নারীকে সবার আগে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে
॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ “নারী-পুরুষ সমতায় উন্নয়নের যাত্রা,বদলে যাবে বিশ্ব ,কর্মে নতুন মাত্রা” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বান্দরবানে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস ২০১৭ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে র্যালী, আলোচনা স্বাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৮মার্চ) সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ শেষে পুনরায় জেলা প্রশাসক চত্ত্বরে এসে র্যালী শেষ হয়। এসময় র্যালীতে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ নেয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বরে জেলা মহিলা বিষয়ক র্কমকর্তা সুম্মিতা খীসা এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শম্পা রানী সাহা, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ হাসান আলী, উইম্যান চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি লালছানি লুসাই, দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অং চ মং মারমা, সিনিয়র জে-ার স্পেশালিস্ট এ্যানা ত্রিপুরা।
অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, জেলা শিশু বিষয়ক র্কমকর্তা শিলাদিত্য মুৎসুদ্দি, কারিতাসের প্রোগ্রাম অফিসার রুপনা দাস, ব্যাক প্রতিনিধি মো: ওমর ফারুক, রুপালী নারী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রুপালী বড়–য়া,সূর্যের হাসি ক্লিনিকের জেলা সমন্বয়কারী প্রমোদ মল্লিক, হেলেন ক্লেনারের মা ও শিশু সাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মাসুমা চেীধুরীসহ স্থানীয় বিভিন্ন এনজিও কর্মী ও সুশীল সমাজের লোকেরা। সভায় সঞ্চালনা করেন হোসনেআরা শিরিন ও মিলন কুমার ভট্টাচার্য্য।
এসময় বক্তারা বলেন“এই দিবসটি উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মজুরি বৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা। সেই মিছিলে চলে সরকার লেঠেল বাহিনীর দমন-পীড়ন। এরেই ধারাবাহিকতায় ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল। বাংলাদেশেও ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার অর্জনের পূর্ব থেকেই এই দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। অতঃপর ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা আরো বলেন “নারীকে সবার আগে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। নারী যে মানুষ, তা নারীকেও বুঝতে হবে। নারীর অগ্রগতির জন্য সবার আগে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ নারীকে প্রথমত পরিবার থেকেই আলাদা করে দেখা হয়। উন্নয়ন আর ক্ষমতায়নের প্রশ্নে নারীকে সুসংহত চিন্ত করতে হবে। নারী-পুরুষ প্রতিদ্বন্ধী নয়। আজ বিশ্বের দরবারে নারী পুরুষ সমান ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। সাতরাং একে অপরকে পরিপূরক ভাবলেই মানুষে মানুষে সমতা আসবে।
॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ বান্দরবানের বাঘমারা পাড়া বৌদ্ধ বিহার উৎসর্গ করা হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় পার্বত্য চট্্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই মন্দির উৎসর্গ অনুষ্টানে যোগ দেন। এসময় প্রতিমন্ত্রীর সাথে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্নিবাণ চাকমা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ম্রাচা খেয়াং, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল আজিজ, সহকারী প্রকৌশলী মো:নুর হোসেন, বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকউল্লাহ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পাইহ্লাঅং মার্মা, কুহালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সানুপ্রু মার্মা, বাঘমারা পাড়া বৌদ্ধ বিহারের বিহার অধ্যক্ষ ও পার্বত্য ভিক্ষু পরিষদের সাবেক সভাপতি উ সমা মহাথের সহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের বিহার অধ্যক্ষ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
এসময় প্রতিমন্ত্রী ফিতা কেটে ২ হাজার ১১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত বৌদ্ধ বিহারের উৎসর্গ করেন। পরে বিহার উৎসর্গ উপলক্ষে এক ধর্মদেশনা ও সভায় যোগদেন প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এসময় প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম অনুসারে পার্বত্য এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে।
এসময় তিনি আরো বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে আজ পার্বত্য এলাকার সর্বত্র উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। মন্দির, মসজিদ, বিহার,গীর্জাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ সড়ক যোগাযোগ, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সকল ক্ষেত্রে আজ পার্বত্য এলাকা সবদিকে এগিয়ে। আগামীতে সকলের সহযোগিতায় পার্বত্য এলাকার এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। এসময় অনুষ্টানে প্রতিমন্ত্রী বাঘমারা পাড়া বৌদ্ধ বিহারের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
॥ বান্দরবান প্রতিনিধি ॥ বান্দরবানে সদ্য ঘোষিত কমিটি থেকে বিএনপি’র ১০নেতা তাদের নিজ নাম প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে। শনিবার বিকালে বান্দরবান জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে তারা এ সংবাদ সম্মেলন করে।
এসময় নেতারা বলেন, গত ১লা মার্চ তৃণমূল নেতা ও কাউন্সিলরদের মতামতকে উপেক্ষা করে বান্দরবান জেলা বিএনপি’র আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। অগণতান্ত্রিক ভাবে তৃণমূল নেতাদের মতামতকে উপেক্ষা করে দলে কাজ করা সম্ভব নয়। এ জন্যই আমরা সদ্য ঘোষিত আংশিক কমিটি থেকে নিজ নাম প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ, লামা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আমির হোসেন আমু, জেলা বিএনপি’র যুগ্ন সম্পাদক মুজিবুর রশিদ, প্রথম আলোর প্রতিনিধি বুদ্ধজ্যোতি চাকমা, এটিএন বাংলার প্রতিনিধি মিনারুল হকসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে নেতারা বিএনপি’র মহাসচিব এর মাধ্যমে চেয়ারপার্সন বরাবরে লিখিত আবেদন প্রেরণ করে।
আলীকদম প্রতিনিধি ॥ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন,তিন পার্বত্য জেলার মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েক বছরে এ অঞ্চলের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী রাস্তা-ঘাট,কালভার্ট-ব্রিজ, মসজিদ,মন্দির,গির্জা,স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখতে আরো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। শুক্রবার দুপুরে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার সদর ও নয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে দু:স্থদের মাঝে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার নায়িরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারমম্যান শিরিনা আক্তার রোকসানা, লামা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ভুঁইয়া মাহাবুব হাসান, আলীকদম সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন, কুরুকপাতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ক্রাতথোং মুরুং, থানা অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর প্রায় ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন আলীকদম সদর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন উ্দ্েবাধন শেষে ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স এলাকায় রেষ্ট হাউজ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার নতুন ভবন উদ্বোধন করেন।
পরে ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদ ভবন উদ্বোধন শেষে দুস্থ ও বেকার নারীদের মাঝে ভিজিডি কার্ড, ঢেউটিন ও নগদ টাকা, কৃষকদের মাঝে স্প্রে মেশিন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সোলার ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেকার নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন।
পাচারের সময় পাথর ভর্তি তিনটি ট্রাকসহ দুই চালককে আটক করেছে সেনাবাহিনী
লামা প্রতিনিধি ॥ কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না বান্দরবানের লামা উপজেলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পাচার। আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশল অবলম্বন করে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পাথর নিয়ে যাচ্ছে বহিরাগত একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। সর্বশেষ মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি বনফুর এলাকা থেকে পাচারের সময় পাথর ভর্তি তিনটি ট্রাকসহ দুই চালককে আটক করেছে সেনাবাহিনী।আটক গাড়ি চালকরা হলো- কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. বেলাল (৩৩) ও ডুলহাজারা ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত মমতাজ আহমদের ছেলে মামুনুর রশিদ (৩৬)।অবৈধ পাথরগুলো কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ব্যবসায়ী মহি উদ্দিন, নাছির, নাছিমুল হক ও দত্তবাবুর এবং গাড়িগুলো মো. ফরিদ উদ্দিনের বলে গাড়ি চালকরা জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, বনপুর এলাকা থেকে রাতের বেলায় অবৈধভাবে পাথর পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় ইয়াংছা আর্মি ক্যাম্প ইনচার্জের নেতৃত্বে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে অভিযোন চালানো হয়। এ সময় বনপুর ডবল ব্রিজ এলাকা থেকে ৩টি ট্রাক ভর্তি পাথরসহ দুই চালকে আটক করলেও অভিযানের টের পেয়ে আরও তিনটি পাথর ভর্তি ট্রাক পালিয়ে যায়।
বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে আটক পাথর, ট্রাক ও ট্রাক চালকদের উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আদালতের বিচারক খিন ওয়ান নু অবৈধ পাথর বহনের দায়ে দুই চালকে ৬ হাজার ও গাড়ি মালিক নাছিমুল হককে ৩ হাজার টাকা অর্থ দণ্ডের আদেশ দেন। পরে আটক ১০০০ ঘনফুট পাথর পূর্বের মালিক মহি উদ্দিন ৫৫ হাজার টাকায় নিলামে ডাক নেয়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করে বলেন, চকরিয়া উপজেলার একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত পাহাড় ও ঝিরি খুঁড়ে পাথর উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে। পাথর উত্তোলনের কারণে শুধু পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে না, ইউনিয়নের রাস্তাগুলো লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বর্তমানে সড়কগুলোতে যাত্রীবাহী গাড়ি দূরে থাক পাঁয়ে হাঁটাও কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে।
তারা আরও জানায়, বিভিন্ন সময় পাচারের সময় পাথরসহ ট্রাক চালক ও মালিকদের আটক করে জরিমানা করা হলেও পাচার নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। বরং তারা নিলামকৃত এক হাজার ঘনফুট পাথরের কাগজ ব্যবহার করে পরবর্তীতে কৌশলে আরও ২০ হাজার ঘনফুট পাথর নিয়ে যায়।
পাথর ভর্তি তিনটি ট্রাকসহ দুই চালক ও গাড়ি মালিককে অর্থদণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খিন ওয়ান নু বলেন, উপজেলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
॥রাহুল বড়–য়া ছোটন,বান্দরবান॥ বান্দরবানে শুরু হয়েছে স্বাধীনতা দিবস ক্রিকেট লীগ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বান্দরবান জেলা স্টেডিয়ামে এই ক্রিকেট লীগ শুরু হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বেলুন উড়িয়ে ক্রিকেট লীগের শুভ সুচনা ঘোষনা করেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্নিবাণ চাকমা,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মো:আব্দুল রহিম চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রশিদ,দিপ্তী কুমার বড়–য়া সহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্ধ ও খেলোয়াড়রা উপস্থিত ছিলেন। সকালে উদ্বোধনী খেলায় রিদম রয়েল ক্লাব ,বাংলা বয়েজ ক্লাবের মোকাবেলা করেন। এসময় টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলা বয়েজ ক্লাব । খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন বাংলদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বান্দরবান জেলা ক্রিকেট কোচ রাহুল বিশ্বাস ও মো:হেলালুর রশিদ। ম্যাচ কোডিনেটর মো: তাহের টিপু। উদ্বোধনী খেলায় রিদম রয়েল ক্লাব ২৬ ওভার ২বলে ১২৬ রান করে ও বাংলা বয়েজ ক্লাব ৪২ ওভারে ২০৪ রান করে বিজয়ী হয়। আজ শুক্রবার আজিজনগর ক্রিকেট একাডেমী ও জি টিএল ক্লাব কালাঘাটা পরস্পরের মোকাবেলা করবে। এবারের স্বাধীনতা দিবস ক্রিকেট লীগে মোট দশটি দল অংশ নিচ্ছে আর আগামী ১৬ইমার্চ লীগের ফাইনাল খেলা অনুষ্টিত হবে।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সুফল পাচ্ছে জনগণ –বীর বাহাদুর এমপি
॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ পণ্যের প্রচার ও প্রসার আর ক্রেতাদের নতুন নতুন পণ্য সর্ম্পকে পরিচিতি করতে বান্দরবানে শুরু হয়েছে বান্দরবানে শুরু এসএমই পণ্যমেলা। এসএমই পণ্যমেলা উপলক্ষে বুধবার (১ মার্চ) বিকেলে বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে ও বেলুন আর পায়রা উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী ও এসএমই ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার রাহুল বড়–য়াসহ সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তাদের। মেলা উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে প্রায় ৬০টি স্টল নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা হাজির হয়েছে। মেলায় পাটজাত পণ্য,চামড়াজাত সামগ্রী, পোশাক, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়ার, হ্যান্ডিক্রাফটস, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, গৃহস্থালী পণ্য, গৃহস্থালী পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য এবং অন্যন্য স্বদেশী পণ্য।
মেলা উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রাঙ্গনে আয়োজন করা হয় এক আলোচনা সভা ও উদ্বোধনী অনুষ্টানের। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, বর্তমান সরকারের সুফল জনগণ আজ পাচ্ছে। দেশের সর্বত্র আজ ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোয়া লেগেছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সুফলের ফলে আজ থানছির মত দুর্গম এলাকাতে ও বিদ্যুৎতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৪৬বছর পর বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারই এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়ে সফল বাস্তবায়ন করেছে।
এসময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের উন্নয়নে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি, বিনামুল্যে বই প্রদান ও এখন মায়েদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করছে বর্তমান সরকার। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শুধু শিক্ষিত হলে হবে না, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে, তাইলেই দেশে শান্তি বিরাজ করবে আর সর্বত্র উন্নয়নের জোয়ার অব্যাহত থাকবে। ছয়দিনব্যাপী এই মেলা প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে আর ৬ইমার্চ সমাপনী অনুষ্টানের মধ্য দিয়ে এই এসএমই পণ্য মেলার সমাপ্তি হবে। মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে বিনামুল্যে প্রবেশ, কুইজ প্রতিযোগিতা, র্যাফেল ড্রসহ নানান আকর্ষনীয় আয়োজন।
॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ দেশের সবচেয়ে দুর্গম পার্বত্য উপজেলা থানচিতে বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এই প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন।
এসময় বান্দরবান প্রান্তে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল যুবায়ের সালেহীন পিএসসি, এনডিইউ, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম, থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্য হ্লাচিং মারমা, বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সুধীজন এবং সাংবাদিকবৃন্দ।
এদিকে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ জানায়, প্রধানমন্ত্রীর রুপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রায় ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দুর্গম থানচিতে বিদ্যুতায়নের কাজ শুরু হয় বিগত ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে। এজন্য চিম্বুকে স্থাপন করা হয় ৩৩/১১ কেভি সক্ষমতা সম্পন্ন একটি উপকেন্দ্র। কাজ শুরুর মাত্র চৌদ্দ মাসের মাথায় গত বছরের জুলাই মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কিছু এলাকায় পরীক্ষামুলকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর এখন পুরোপুরিভাবে বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হবে। জেলা সদর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দুরের উপজেলা থানচিতে ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুতায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়, নীলগীরি পর্যটন কেন্দ্র, ডিম পাহাড় ও তার আশপাশের বিভিন্ন আদিবাসি অধ্যুষিত পাড়া গ্রামসহ থানচি উপজেলা সদর এবং বলিপাড়া ইউনিয়নের প্রায় আড়াই হাজার গ্রাহকের মাঝে বিদ্যুত সুবিধা পৌছে যাবে। এদিকে দুর্গম এলাকার পাড়া গ্রামে বিদ্যুত সংযোগ পৌছে যাওয়ায় খুশি সেখানকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। রাতের আঁধার নামার সাথে সাথে দুর্গম পাহাড়ে জ্বলছে বৈদ্যুতিক বাতি। আলোকিত করছে পাহাড়ের জনপদকে।
দেশ স্বাধীনের ৪৫ বছর পর বিদ্যুত সংযোগ চালু হওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা গিরিদর্পণকে জানান, এতদিন প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ অন্ধকারে ছিল। সন্ধ্যা না হতেই রাত নেমে আসতো। মাত্র কয়েক শতাংশ মানুষই সৌর বিদ্যুতের সুবিধা পেতো। এখন সে দিন আর নেই। বিদ্যুত সংযোগ পাওয়ায় এলাকার পর্যটন, শিক্ষা, চিকিৎসার উন্নয়ন হবে। সাবেক চেয়ারম্যান মংথোয়ইম্যা রনি জানান, থানচিবাসী বিদ্যুত সুবিধা পাবে এটা দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। কিছুটা দেরিতে হলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ এখন বিদ্যুত সুবিধা পাচ্ছে। বিদ্যুতের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে এখানকার শিক্ষা, কৃষি এবং পর্যটনসহ অনেকে ক্ষেত্রে উন্নয়ন হবে এতে সন্দেহ নেই। থানচি সদরের মুদি দোকানি অংচা হ্লা মারমা বলেন, এতদিন সন্ধ্যা হলে আমরা জেনারেটরের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময় বিদ্যুত সংযোগ পেতাম। এবার সরাসরি বিদ্যুত সংযোগ পাওয়ায় আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যে আর কোন অসুবিধা হবেনা।
এদিকে থানচিতে বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর সাংবাদিকদের বলেন, এই বিদ্যুত প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার সবাইকে বিদ্যুত সুবিধা দেয়া সম্ভব না হলেও আগামিতে সোলার পাওয়ারের মাধ্যমে বিদ্যুত সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। আর এ জন্য সরকার মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে যা শীঘ্রই বাস্তবায়ন করা হবে। এসময় তিনি বিদ্যুত ব্যবহারে সকলকে মিতব্যয়ী হবারও আহবান জানান।
বিদ্যুৎতায়নে থানচিবাসীদের ৩য় সপ্ন পূরণ.
বুধবার ভিডিও কম্ফারেন্সের শুভ উদ্ভোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
॥ থানছি সংবাদদাতা ॥ স্বাধীনতা ৪৬ বছর পরে দুর্গম থানচি উপজেলা বিদ্যুৎতায়নের থানচিবাসীদের ৩য় সপ্ন পূরণ হলো ।প্রধান মন্ত্রী ১লা মার্চ ২০১৭ ইং বুধবার সকাল ১০ টা ভিডিও কম্ফারেন্স মাধ্যমে শুভ উদ্ভোধন করবেন। ২০৫৩.৯৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ের বিউবো রাঙ্গামাটি জেলা তত্ত্বাবধানে থানচি উপজেলা বিদ্যুৎতায়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ ও শুভ উদ্ভোধনের বান্দরবান জেলা প্রশাসক কম্ফারেন্স হলে সকল প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে । থানচি উপজেলা থেকে অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের ভিডিও কম্ফারেন্স উপস্থিত থাকা ও প্রধান মন্ত্রীর উদ্ভোধনের সরাসরি উপভোগের আমন্ত্রণ কার্ড বিতরণ চলছে ।
থানচিবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্বাধীনতা পর থেকে থানচিবাসীদের সপ্ন ছিল দেশের বিভিন্ন স্থানে মতো বিদ্যুৎতে আলো, যোগাযোগ, শিক্ষা,স্বাস্থ্য জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ নানা সরকারী সেবা নিশ্চি পাওয়ার কাজ করে যাচ্ছে । কিন্তু জেলা সদর থেকে যোগাযোগে সড়ক না থাকায় অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়েছে ৪৬টি বছর । ২০০০ সালে জেলা সদর থেকে উপজেলা সদর পর্যন্ত সড়কনির্মানের যোগাযোগে উন্নয়ন সুফল ভোগ করছে । ২০১২ সালে সাংগু সেতু স্থাপন ও নির্মানের ফলে থানচিবাসীদের কৃষি খাত ও অন্যান্যখাতে উদপাদিত ফসলের নিতিবাচক রুপ ধারণ করেছে এবং সুফল ভোগ করেছে । এক মাত্র বাকি ছিল বিদ্যুৎ সুবিধা কিন্তু ২০১৬ সালে বিদ্যুৎতায়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে ফলে থানচি বাসীদের ৩য় সপ্ন পূরণ হচ্ছে বলে থানচিবাসী উপজেলা হাট বাজার চা দোকান, সেলুন দোকানসহ বিভিন্ন স্থানে মন্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে।
২০১৭ সালে শুরুতে থানচি উপজেলা দুইটি বাজার ও তার আশে পাশ্বে এলকায় বিদ্যুৎতে আলো সজ্জা শুরু করেছে । থানচি বাসীদের আশার আলো ও স্বপ্নের ঠিকানা গন্তব্যে স্থানে পৌছার আর বাকি রয়েছে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ও একটি গুনগতমান উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ( কলেজ) স্থাপনের জরুরী মনে করছেন অনেকে । বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিউবো ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, থানচি উপজেলা বিদ্যুৎতায়ন এদঅঞ্চলের জনসাধারনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মান উন্নীতকরণ , সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি,নর-নারী কর্মসংস্থান ও শিল্পোন্নয়ন বৃদ্ধি এবং পর্যটন শিল্প বিকাশ করার লক্ষ্যে সরকার বিদ্যুৎ.জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ২০ কোটি ৫৩ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয়ের এপ্রিল ২০১৫ থেকে জুন ২০১৬ সালে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ সমাপ্তি হওয়ার কথা থাকলে ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী সংস্থা কাজের শ্রমিক স্বল্পতা কারনে জানুয়ারী ২০১৭ পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছে । ইতিমধ্যে ৩৩/১১ কেভি,৪ লাইনে ১.৬৭, ২ লাইনে ২৩ এমভিএ , গ্রামীণ উপকেন্দ্র ০১ টি । এর মধ্যে ৩৫ কেভি লাইন ৩৫ কিঃমিঃ, ১১ কেভি লাইন ২৮ কিঃমিঃ,১১/৪ কেভি লাইন ২ কিঃমিঃ,০.৪ কেভি লাইন ৫ কিঃমিঃ,০.২৩ কেভি লাইন ১০ কিঃমিঃ ও বিতরণ ট্রাাস্ফরমার ১৭টি কাজ সম্পাদন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
থানচি উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মংবোওয়াংচিং মারমা মন্তব্যে করে বলেন, প্রধান মন্ত্রী সদিচ্ছা ও পার্বত্যবাসীদের উপর অফুরন্ত ভালবাসা সহানুভূতি যথেষ্টতা রয়েছে তা এখন প্রমান মিলছে, স্বাধীনতা ৪৬ বছরের মধ্যে ও বিদ্যুৎতায়ন প্রকল্পর বাস্তবায়ন মধ্য দিয়ে থানচি উপজেলাকে একটি আধুনিক, ডিজিটালাইজ আওতায় আনছেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীকে থানচি বাসী পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণ ঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো বলেন, যোগাযোগ, শিক্ষা, বিদ্যুৎতায়নের সফলতা ,অসাধারণ সাফল্য ও অর্জন হওয়া থানচিবাসীদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীকে আন্তরিকতা সাথে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা মন্তব্য করে বলেন, বিদ্যুৎ, জা¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ,প্রধান মন্ত্রী ও পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অক্লান্ত প্রচেষ্টায় থানচি উপজেলা বিদ্যুৎতায়ন প্রকল্প দ্রুততাসাথে বাস্তবায়ন ও সম্পাদনা করতে স্বক্ষম হয়েছে । আমরা এর সুফল ভোগ করছি এবং ১ লা মার্চ বুধবার থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্প কারখানাসহ উদ্যোগ নিতে পারবো । বিদ্যুৎ না থাকায় স্বাধীনতা ৪৬ বছর পর্যন্ত আমাদের থানচির চিত্রকে বিশ্বের দরবারে আকর্ষণীয় গড়ে ওঠার সম্ভব হয় নি । এবারে পর্যটন সম্ভাবনাময় ও পর্যটন শিল্প বিকাশ অবশ্যই ঘটবেই। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।
বান্দরবানের প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহ
উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনাসভা
॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন,বান্দরবান ॥ “নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের প্রতিশ্রুতি-সুস্থ সবল মেধাবি জাতি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানা আয়োজনে বান্দরবানের উদযাপিত হয়েছে প্রাণী সপ্তাহ সেবা- ২০১৭। এ উপলক্ষ্যে সকালে জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের আয়োজনে শোভাযাত্রা,আলোচনা সভা ও মেলার উদ্ভোধন করা হয়। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পার্র্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা ছাড়াও পার্বত্য জেলা পরিষদের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পোলট্রি ও ডেইরি খামারের মালিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। শোভাযাত্রা শেষে পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কনভেনার ও পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তফা জামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ক্য সা প্রু মারমা।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শহিদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শম্পা রাণী সাহা, পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সিং ইয়ং ¤্রাে, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক আলতাফ হোসেন, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিছুর রহমান, মৎস কর্মকর্তা মো.এনায়েত হোসেন, প্রেস ক্লাব সম্পাদক মিনারুল হক এবং বিভিন্ন এলাকার খামারীরা। আলোচনা সভায় বক্তারা নিরাপদ প্রানিজ আমিষের মাধ্যমে সুস্থ সবল মেধাবী জাতি গঠনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় বক্তারা বেশি বেশি প্রানি পালন করে নিজ নিজ অর্থনৌতিক অবস্থার আরো উন্নয়ন করার আহবান ও জানান।