॥ লংগদু প্রতিনিধি ॥ উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে এলাকায় আইন শৃঙ্খলা স্থিতিশীল বজায় রাখা। কেননা আইন শৃঙ্খলা বিনষ্ট হলে উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ হয়। তাই, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চাঁদা বাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন লংগদু উপজেলার সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল আব্দুল আলীম চৌধুরী।
শনিবার (৪ মার্চ) লংগদু সেনা জোনের উদ্যোগে জোনের চিত্ত বিনোদন কক্ষে উপজেলার হেডম্যান ও কার্বারীদেরে নিয়ে আয়োজিত এক সন্মেলনে জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল আব্দুল আলীম চৌধুরী এআহবান জানান।
সম্মেলন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ রফিকুল ইসলাম পিএসসি। সম্মেলনে সভাপতিত্ব ও স্বাগত বক্তব্যে জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল আব্দুল আলীম চৌধুরী আরো বলেন, যেহেতু আমরা এই এলাকায় থাকি তাই, এলাকার মানুষের সুখ, দুঃখ ও উন্নয়নের সাথে আমাদের একটা সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, আজকের এই সম্মেলন একটি যুগপোযোগী বলে মনে করি। এলাকায় যে কোন পরিস্থিতি দেখা দিলে তখন নিজেরাই আলাপের মাধ্যমে তা সমাধানের ব্যবস্থা করা যাবে।
তিনি বলেন, লংগদুতে আইন শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। তার জন্য আমি খুবই খুশি। এটা কেবল সম্ভব হয়েছে আপনাদের সহযোগিতার জন্য। আশাকরি আগামীতেও আপনারা এভাবে জোনকে সহযোগিতা দিয়ে যাবেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোমিনুল ইসলাম, উপজেলা হেডম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সোনাই মৌজার হেডম্যান প্রেম লাল চাকমা, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও হেডম্যান মোঃ এখলাস মিঞা খান।
এছাড়া লংগদু ইউপি চেয়ারম্যান ও হেডম্যান কুলিন মিত্র চাকমা আদু, উপজেলার কার্বারী সমিতির সভাপতি সুরুজ চান চাকমা, কার্বারী মোঃ আব্দুস সাত্তার বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে উপজেলার সকল হেডম্যান, কার্বারী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
॥ বিশেষ প্রতিনিধি ॥ গত ২রা মার্চ রাঙ্গামাটির শিল্পকলা একাডেমীতে অত্যন্ত জাঁকজমকের সাথে ১০টি বিষয়ে ১০ (দশ) জন গুনী ব্যক্তিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত মনগড়া ছিল। কিন্তু তারিমধ্যে যেটি অত্যন্ত দৃষ্টি কটু লেগেছে সেটি হচ্ছে সম্মানিতদেরকে অসম্মান করা হয়েছে। এতে করে ২/১ জন সম্মানিত ব্যক্তি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
প্রথমতঃ সম্মানিতদের দর্শকদের গ্যালারীর মাঝখানে বসানো হয়েছে। ২য়তঃ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদেরকে উত্তরীয় পরানো হয়েছে।
বতৃতা শেষে সম্মানিতদের উত্তরীয় ক্রাষ্ট নগদ অর্থ ও সার্টিফিকেট দিয়ে সম্মানিত করেছে পরে ষ্টেজের পিছন সারিতে দাঁড়িয়ে ফটো সেশন করেছে।
প্রথমদিকে তাদেরকে দর্শকদের সামনের আসনে বসানো উচিত ছিলো। এবং অতিথিদের সাথে উত্তরীয় পরিয়ে ষ্টেজে বসানো সঠিক ছিলো।
ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের কোন অনুষ্ঠানে এরকম দৃস্টি কটু দেখা যায় মতো কিছু না করা থেকে বিরত থাকা।
॥ কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাই ॥ কাপ্তাই উপজেলার ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের শপথ গ্রহণের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবার স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। যৌথভাবে স্মারকলিপি প্রদান করেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী, সংরক্ষিত আসনের সদস্য যথাক্রমে হোসনে আরা, নয়ন আক্তার, ফুশকারা বেগম, সাধারন আসনের সদস্য যথাক্রমে আবুল হাসেম, মোঃ মোস্তফা, আজিজুল হক, আবুল হাসনাত খোকন, মাইনুল ইসলাম, মোঃ মামুন, মাইনুল ইসলাম, আরশাদ আলী ও মাইন উদ্দিন। প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে দেওয়া স্মারকলিপি গ্রহণ করেন কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ দিলদার হোসেন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া স্মারকলিপি গ্রহণ করেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উৎপল বড়–য়া।
নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গত বছরের ১২ নভেম্বর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ঐ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে তিনি ৬ হাজার ৩৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানেরশীষ প্রতিকে পান ৪৭৪ ভোট। নির্বাচনের এক মাসের মাথায় গেজেট প্রকাশিত হয়। কিন্তু ইতিমধ্যে ৪ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তাদের শপথ অনুষ্ঠিত হয়নি। শপথ না হওয়ায় নির্বাচিত হয়েও তারা কোন দায়িত্ব পালন করতে পারছেননা। স্থানীয় জনগণ বিচার আচার, জন্ম সনদ পাওয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে কার কাছে যাবে কে সমাধান দেবে বুঝতে পারছেননা। এর ফলে মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ছে ববলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ দিলদার হোসেন স্বারকলিপি গ্রহণ করার কথা স্বীকার করে বলেন, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যথাযথ নিয়মে স্মারকলিপিটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে। তিনি নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দ্রুত শপথ হওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন। সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উৎপল বড়–য়া বলেন, রিটার্নিং অফিসার হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ছিল সুষ্ঠভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা। সেটা আমরা করতে পেরেছি। কিন্তু শপথ কেন হচ্ছেনা সেই বিষয়টি দেখা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়েনা। তিনি স্মারকলিপিটি যথা নিয়মে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাঠাবেন বলেও জানান।
এদিকে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী এবং নির্বাচিত সংরক্ষিত আসনের সদস্য যথাক্রমে হোসনেয়ারা, নয়ন আক্তার, ফুশকারা বেগম, সাধারন আসনের সদস্য যথাক্রমে আবুল হাসেম, মোঃ মোস্তফা, আজিজুল হক, আবুল হাসনাত খোকন, মাইনুল ইসলাম, মোঃ মামুন, মাইনুল ইসলাম, আরশাদ আলী ও মাইন উদ্দিন বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) এই প্রতিনিধিকে বলেন, জনগণের সেবা করার প্রত্যয় নিয়ে আমরা নির্বাচন করেছি। জনগণ আশায় বুক বেঁধে ভোট দিয়ে আমাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন। এখন যদি জনগণের সেবা করতে না পারি তা হলে কোন মুখ নিয়ে আমরা আবার জনতার সামনে দাঁড়াবো। তাঁরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে শপথ গ্রহণ সম্পন্ন করে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জন কল্যাণে কাজ করার সুযোগ করে দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় অনাকাঙ্খিত কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে বলেও তারা হুশিয়ার করেন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য অঞ্চলের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অবদানের স্বীকিৃতির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় আগামী বছর থেকে গুনীজনদের সম্মাননা জানাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের সম্মাননা জানানো না গেলে আগামীতে কোন ক্রীড়াবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব উঠে আসবে না। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমী যে ১জন গুনী ব্যক্তিকে সম্মাননা দিয়েছে তাদের দেখে আগামী দিন গুলো আরো প্রতিভার সৃষ্টি হবে। এই প্রতিভারাই একদিন পার্বত্য অঞ্চলের সুনাম দেশ বিদেশে ছড়িয়ে দেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গতকাল ২ মার্চ রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে সমাজে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অসমান্য অবদান রাখায় ১০ জন গুনীজনকে সম্মাননা জানানোর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য ও শিল্পকলার আহবায়ক মনোয়ারা আক্তার জাহান। গুনীজনদের পক্ষ থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন রাঙ্গামাটির প্রাক্তন শিক্ষা অফিসার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং আবৃতিকার হিসাবে গুনীজন সম্মাননা প্রাপ্ত অঞ্জুলিকা খীসা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক বুলবুল।
বীর বাহাদুর বলেন, যে দেশে গুনীদের কদর করা হয় না সে দেশে কখনোই গুনী জন্ম গ্রহণ করে না। গুনীদের কদর করতে না জানলে নিজের প্রতিভাও প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের আনাচে কানাচে অনেক গুনী শিল্পী ও ক্রীড়াবিদ পড়ে আছে তাদের ঠিক মতো গড়ে তুলতে পারলেই আগামী দিন গুলোতে পার্বত্য অঞ্চলে নাম দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে। তিনি আরো বেশী বেশী সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানান।
তিনি রাঙ্গামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার কথা উল্লেখ করে বলেন। রাঙ্গামাটিতে অনেক ক্ষুদে খেলোয়াড় রয়েছে তাদের সঠিক ভাবে তৈরী করতে পারলেই আগামীতে পার্বত্য অঞ্চলের অনেক ক্রীড়াবিদ তৈরী হবে। তিনি রাঙ্গামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থা যদি ফুটবল লীগ শুরু করে তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা প্রদানের ঘোষণা প্রদান করেন। এছাড়া রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে সম্মাননা প্রাপ্ত ১০ জন গুনীজনকে তার পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করেন বীর বাহাদুর এমপি।
মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কথা দেশ বিদেশে ছড়িয়ে দিতে আমাদের সকলকে আরো বেশী কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী আমাদের পাশে রয়েছে। তার হাত ধরেই আমরা আগামী দিনে এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে আরো উপরে নিয়ে যাবো এই আশা প্রকাশ করছি।
সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন, চারুকলায় রতিকান্ত তঞ্চঙ্গ্যা, যাত্রা শিল্পী হিসাবে নন্দ রানী চাকমা, কন্ঠ সংগীতে ফনীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, নৃত্যকলায় হুমায়ুন কবীর, যন্ত্র শিল্পী ধারশ মনি চাকমা, লোক সংস্কৃতিতে আনন্দলতা চাকমা, আবৃত্তিতে অঞ্জুলিকা খীসা, কন্ঠ সংগীতে অমর শান্তি চাকমা, নাট্যকলায় ঝিমিত ঝিমিত চাকমা, যন্ত্রশিল্পী হিসাবে ঝুলন দত্ত।
আলোচনাসভা শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি ও অন্যান্য অতিথিরা গুনী ব্যক্তিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
লংগদুতে মহিলা আ.লীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের রাজনীতি বন্ধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে
—– দীপংকর তালুকদার
আগামী নির্বাচনে লংগদুর নারীরা স্বতর্স্পূত ভাবে কাজ করে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনবে
—- ফিরোজা বেগম চিনু
॥ লংগদু প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেছেন, পাহাড়ে কিছু অস্ত্রধারী ন্ত্রাসীরা অবৈধ অস্ত্রের মুখে দিয়ে সাধারণ পাহাড়ী বাঙ্গালীদের জিম্মি করে এলাকায় অশান্তি সৃষ্ঠি করছে। এসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তিনিি পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের রাজনীতি বন্ধে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ডে বিরুদ্ধে সাধারণ জনগন কেউ মুখ খুলতে চায়না। তবে কিছু কিছু সচেতন লোকজন অস্ত্রবাজিদের জিম্মি দশা থেকে বের হয়ে আসছে। তিনি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
মঙ্গলবার, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে লংগদু উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এআহবান জানান।
উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী তানিয়া আফরোজ হাওয়া এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য ও রাঙ্গামাটি জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙ্গামাটি পৌর আ.লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও রাঙ্গামটি জেলা পরিষদের সদস্য মনোয়ারা আক্তার জাহান, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ জানে আলম।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি জেলা আ.লীগের সদস্য ইউসুফ আলী খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরজাহান বেগম, উপজেলা আ.লীগের সহ সভাপতি মোঃ সেলিম, উপজেলা মহিলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদিকা আঞ্জুম আরা মুন্নি, সাংগঠনিক সম্পাদিকা ফাতেমা জিন্নাহ প্রমুখ।
দীপংকর তালুকদার প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরো বলেন, আওয়ামীলীগ কথায় এবং কাজে বিশ্বাসী। যেখানে একবার কথা দেয় সেটা রক্ষা করে। নির্বাচনে রাঙ্গামাটিতে আওয়ামীলীগ হারলেও উন্নয়নের কর্মকান্ড থেমে থাকেনি। কিন্তু অন্যরা জিতলেও উন্নয়নতো দূরের কথা এলাকায় পর্যন্ত আসেনা না।
তিনি বলেন, চব্বিশ বছর আগে লংগদুতে সাংগঠনিক সফরে এসে দলের জন্য উঠান বৈঠক করা কঠিন ছিল। আজ সেই প্রেক্ষাপট নেই। এখন সমাবেশে মহিলাদের জায়গা সংকুলান হচ্ছেনা। এটা সম্ভব হয়েছে আ.লীগ উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে বলে।
তিনি বলেন, লংগদুতে নৌকা পালের হাওয়া লেগেছে তাইতো ইউপি নির্বাচনে পাঁচটিতে আমরা জয় পেয়েছি। অতছ এই উপজেলা ছিলো বিএনপির ঘাটি। আপনাদের মধ্যে সতস্ফুর্ত সাড়া দেখে আমি আশান্বিত যে আগামীতে নৌকা প্রতিক নিয়ে সংসদে যেতে পারবো।
সংসদ সদস্য ও রাঙ্গামাটি জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, নারীরা অনেক অগ্রসর হয়েছে। তারা আর পিছিয়ে নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীদের উন্নয়নের ব্যাপরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, নারীদের আইনগত সহায়তা সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার ফলে নারীরা আজ, সামাজিক উন্নয়নে নারীদের উন্নয়ন ছাড়াও সংসদ সদস্য এবং বিভিন্ন চাকুরী ক্ষেত্রে নারীদের সমান ভাবে সুযোগ দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, নারীরা আজ ঘরে বসে নেই। তারা অনেক ভাবে আজ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে নারীরা যাতে ঘরে বসে না থেকে স্বতর্স্পূত ভাবে কাজ করে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, লংগদু উপজেলার সমাবেশ দেখে বোঝা যায় এই উপজেলায় নারীদের মনে নৌকার যথেষ্ট সারা জাগিয়েছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।
রাঙ্গামাটিতে মহিলা আওয়ামীলীগের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী,
পাহাড়ের অস্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করতে সকল জনগনকে ঐক্যবদ্ধ
ভাবে এগিয়ে আসতে হবে————- দীপংকর তালুকদার
বর্তমান সরকার পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে ধারাবাহিক ভাবে যে কাজ
করেছে তা অতীতে কোন সরকার করেনি—–ফিরোজা বেগম চিনু
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পাহাড়ের অস্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করতে সকল জনগনকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন পাহাড়ের অস্ত্রের কারণে কোন মানুষ শান্তিতে নেই। পাহাড়ী বাঙ্গালী সকলেই অস্ত্রের কাছে জিম্মি হয়ে রয়েছে। অস্ত্রের ভয়ের কারণে সাধারণ মানুষ তাদের মুখ খুলতে পারছে না। তিনি বলেন, কিছু কিছু সচেতন মানুষ আজ তাদের অস্ত্রের শৃঙ্খল থেকে বের হয়ে আসতে শুরু করেছে এটি আমাদের জন্য একটি বড়ো পাওনা। তিনি অস্ত্রবাজদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
গতকাল বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ এর ৪৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা আওযামী লীগ কার্যালয়ে এক মহিলা সমাবেশে তিনি এ আহবান জানান। রাঙ্গামাটি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মহিলা সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অভয় প্রকাশ চাকমা, মহিলা আওযামীলীগের নেত্রী ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের নবাগত সদস্য মনোয়ারা জসিম, রোকেয়া আক্তার সহ জেলা ও ওয়ার্ড কমিটির নারী নেত্রীরা বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি জেলা মহিলাআওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, বর্তমান সরকার
পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে ধারাবাহিক ভাবে যে কাজ করেছে তা অতীতে কোন সরকার করেনি। পাহাড়ের প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় সরকারের উন্নয়ন পৌছে গেছে। এই উন্নয়নের সুফল পার্বত্য অঞ্চলের জনগন পেতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের অস্ত্রবাজী ও চাঁদাবাজীর কারণে আজ পাহাড়ের মানুষ মুখ খুলতে পারছে না। তাদের প্রতিহত করতে এবং তাদের অপরাধ মুলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পার্বত্য অঞ্চলের সকল নারীদের শুভেচ্ছা জানান। পরে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয় এবং সমাবেশে উপস্থিত নেতা ও কর্মীদের মাঝে প্রতিষ্ঠা বার্সিকীর কেক বিতরন করা হয়।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেছেন, বৃহত্তম এই কাপ্তাই হ্রদে জাক ও অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে রক্ষা করতে মৎস্য বিভাগ, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি’সহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, জাকের মাধ্যমে যেভাবে দিন দিন মা মাছ ও পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে এ লেকে মৎস্য উৎপাদনে বিপর্যয় নেমে আসবে। সাধারণ জনগণের নৌ-চলাচলে বিঘœ হচ্ছে। তাই জাক অপসারণ ও হ্রদ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন, নৌ পুলিশ, জেলা প্রশাসন’সহ সকলকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। জেলার সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে পরিষদের প্রতিটি সভায় প্রতিনিধি প্রেরণ না করে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের উপস্থিত থাকার আহ্বান রাখেন তিনি।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ইং) সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে জেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্র্বিক) আবু শাহেদ চৌধুরী, পুলিশ বিভাগের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি পারভেজ আলী, সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদ তালুকদার, বিএফডিসি’র ম্যানেজার কমান্ডার মোহাম্মদ আসাদুজাম্মান, (জি) এ এফডব্লিউসি, পিএসসি, প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, বন বিভাগ, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, গণপূর্তসহ জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজের প্রতিনিধি বলেন, কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়ে গেছে। ফার্নিচার এল্ েচালু করা হবে। এছাড়া প্রশাসনিক ও একাডেমীক ভবনের কাজ প্রায় ৭০ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
মহিলা কলেজের প্রতিনিধি বলেন, কলেজের ডিগ্রী সেটআপ অনুযায়ী পদ সৃজনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।
বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, গ্রীষ্ম মৌসুমকে সামনে রেখে বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যক্রম চলছে। এছাড়া কাপ্তাই হতে রাঙ্গামাটি পর্যন্ত লাইন সংযোগ স্থাপনের কাজ চলছে।
ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স এর কর্মকর্তা বলেন, নদী ফায়ার স্টেশনের অংশ হিসেবে চলতি মাসের ১৬তারিখ ১টি ইঞ্জিনচালিত বোট পাওয়া গেছে। যার ফলে হ্রদের পাশ্ববর্তী এলাকায় অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটা সম্ভব হবে। এছাড়া কাউখালী উপজেলার ফায়ার স্টেশন ভবন এর কাজ শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই উদ্বোধন করা হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। বাঘাইছড়িতেও ফায়ার স্টেশন বসানোর জন্য জমি চিহ্নিত করা হয়েছে।
মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন এর প্রতিনিধি বলেন, বিএফডিসি, নৌপুলিশ, জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে চলতি মাসের ৪ হতে ২৪ তারিখ পর্যন্ত ১০৫টি জাক অপসারণ, অভয়াশ্রমের মধ্যে অবৈধভাবে মৎস্য শিকার করায় ৩জনকে আটক ও জাক ঘেরা অবস্থায় ১টি কেচকি জাল আটক করা হয়েছে।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রতিনিধি জানান, বর্তমানে মাদার লেকটেটিং ও ৫টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম চলছে।
হেডম্যান এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি মন্তব্য করেন, জাক অপসারণের বিষয়ে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মিটিং করা গেলে আরো ফলপ্রসূ হতো।
এছাড়া সভায় উপস্থিত অন্যান্য বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ স্ব স্ব বিভাগের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।
রাঙ্গামাটিতে সানফ্লাওয়ার সমবায় সমিতি লিঃ এর লাকী কুপন ড্র ও পুরস্কার বিতরণ
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটিতে সমবায় বিভাগের অর্ন্তভুক্ত সমিতি সানফ্লাওয়ার সমবায় সমিতি লিমিটেড এর লাকী কুপন ড্র ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় শহরের বনরূপাস্থ সানফ্লওয়ার সমবায় সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সানফ্লওয়ার সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজল, সমবায় কর্মকর্তা আশিষ চৌধুরী ও সানফ্লওয়ার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহম্মদ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, সমিতির সদস্যদের কল্যাণের পাশাপাশি এই সমিতি সমাজের হতদরিদ্র ও অসুস্থ ব্যক্তিদের সহায়তা, গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী ও বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা করছে এটি অবশ্যই প্রসংসার দাবীদার রাখে। তাদের ন্যায় সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া এ সমবায় বিভাগ আজ দেশের আনাচে কানাচে জনগনের উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করছে। আর এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে জাতির পিতার সুযোগ্য কণ্যা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে দেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হয়। যা অন্য কোন সরকার করতে পারেনা। সঠিক নের্তৃত্বের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলোকে চলমান রেখে আগামীতে এই সমিতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি সানফ্লওয়ার সমিতির সকল সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। পরে সমিতির আসবাবপত্র ক্রয়ের জন্য ২০হাজার টাকা প্রদানের প্রতিশ্র“তি দেন চেয়ারম্যান। শেষে অতিথিরা বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বাঘাইছড়ি নব নির্বাচিত পৌর মেয়রে সঙ্গে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই বিজয়—দীপংকর তালুকদার
॥ জগৎ দাশ, বাঘাইছড়ি ॥ গত ১৮ তারিখ অনুষ্টিতব্য পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ বিজয়ী প্রার্থী মেয়র, জাফর খাঁন বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ার) বিকাল ৫ ঘটিকার সময় রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে, আওয়ামীলীগ সভাপতি, কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সদস্য দীপংকর তালুকদারকে ফুলেল শুভেচ্ছাসহ কৃতঙ্গতা প্রকাশ জানাতে ছুটে আসেন।
জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে দলীয় কাযর্লয়ে ছোট পরিষরে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় অন্যান্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, হাজী কামাল উদ্দিন, সহ সভাপতি, চিংকিউ রোয়াজা, সহ সভাপতি নিখিল কুমার চাকমা, সাধারন সম্পাদক, হাজী মুছা মাতব্বর, দপ্তর সম্পাদক, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেন, এই বিজয় সকলের সম্মলিত প্রচেষ্টার বিজয়। এই বিজয়ে বাঘাইছড়িবাসী তথা পৌরবাসীদের প্রতি ধন্যবাদসহ কৃতঙ্গতা জানান, সাথে মেয়র সফর সঙ্গীদের ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি আরও বলেন, পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর, বিরোধীতা কারি দলীয় নেতা কর্মীদের চিহ্নিতকরনের মধ্যদিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলেন এবং প্রতিষ্টা লগ্ন হতে দীর্ঘ ১২ বছর যাবত উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত পৌরসভার দ্রুত উন্নয়ন কর্মকান্ড শুরু হবে এবং দুই বছরের মধ্য পৌরবাসী উন্নয়ন কর্মকান্ড ভোগ করবেন বলে আশ্বাস প্রধান করেন। অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য দেন নব নির্বাচিত মেয়র জাফর আলী খাঁন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পদক হাজী মুছা মাতব্বর প্রমুখ।
রাঙ্গামাটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস
ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সারা বিশ্বের ন্যায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিসহ পার্বত্য তিন জেলায় পালিত হয়েছে ‘অমর একুশে’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। এ উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে শিশুদের চিত্রাঙ্কন, শহীদ দিবস স্মরণে গান ও সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি ও প্রবন্ধ পাঠসহ ব্যাপক কর্মসূচি পালিত হয়।
একুশের প্রথম প্রহরে রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় সংসদের মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান ও পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া ভোর অবধি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা, রাজনৈতিক, সামাজিক, সংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন রাঙ্গামাটি জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করে। সকালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের উদ্যোগে প্রভাত ফেরীর আয়োজন করা হয়। ২১ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬টায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে ভ্রাম্যমান চলচিত্র প্রদর্শনী প্রদর্শীত হয়।
এছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারী সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি-বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বিকাল ৫টায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক চত্বরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বই মেলা উদ্বোধন করা হয়। তাছাড়া সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীর অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সকল মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডায় ভাষা শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।