॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সংঘাত নয়, হানাহানি নয়, রক্তপাত নয় মৈত্রী ভাবনিযে আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈংসিং এমপি। তিনি শান্তি সম্প্রতি ঐক্য থাকলে কোন সমস্যা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল শান্তি ও সম্প্রতির জায়গা বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব আরো একবার প্রমান করেছে। পার্বত্য অঞ্চলের অ্যাডভেঞ্চার যুক্ত টুরিজমকে বিকশিত করতে বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব ভুমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারী) বিকেলে রাঙ্গামাটি চিংলা মং মারি ষ্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১১ থেকে ১৫ জানুয়ারি পাঁচদিন ব্যাপী বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের পুরষ্কার বিতরনী ও সমাপনী অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব একথা বলেন।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি । পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিলো।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনে সভাপতি নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য কমিশনের সচিব সুদপ্ত চাকমা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংশুই প্রু চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আলম নিজামী, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদ, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাডভেঞ্চার ফেস্টিভলে পর্বতারোহণ, নৌবিহার, কায়াকিং, হাইকিং ও ট্রেইল রান, টিম বিল্ডিং, ট্রেজার হান্ট, ট্রেকিং, ক্যানিওনিং, ট্রি ট্রেইল, রোপ কোর্সসহ বিভিন্ন ইভেন্ট অংশগ্রহণ করা প্রতিযোগিতায় তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড় হতে ৫০ জন ও সমতল থেকে ৫০জন সর্বমোট ১০০জন যাদের বয়ন ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী অ্যাডভেঞ্চারার মাঝে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ।
॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, ‘কোনো প্রকল্পের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না।’
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় প্রকল্প প্রণয়নের সময় দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় যেতে হবে। একই জায়গার একাধিক সংস্থা যেন প্রকল্প না নেয় তা নিশ্চিত করতে সমন্বয় করতে হবে। বাস্তবায়িত প্রকল্প থেকে জনগণ যেন দীর্ঘমেয়াদী উপকার পায় সেটা বিবেচনা করে প্রকল্প নিতে হবে।
পার্বত্য মন্ত্রী আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রকল্প প্রণয়নের সময় কৃষিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, যাতে পার্বত্য এলাকার চাষযোগ্য কোনো কৃষিজমি অনাবাদী না থাকে। পার্বত্য এলাকার কৃষকদের উন্নত জাতের ফল ও উচ্চমূল্যের বিভিন্ন মশলা উৎপাদনের আগ্রহ রয়েছে, কিন্তু তাদের সেই সামর্থ্য নাই। এসব কৃষকদের কথা বিবেচনা করে পার্বত্য চট্টগ্রামের মিশ্র ফল চাষ ও উচ্চমূল্যের মশলা চাষের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের কথা মনে করিয়ে মন্ত্রী বলেন, কোনো প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে না। প্রকল্পের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে হবে। ভালো কাজের জন্য পুরস্কার দেয়া হবে, তেমনি কাজ খারাপ করলে তিরস্কার ও শাস্তি দেয়া হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদকে সমন্বয় করে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সফিকুল আহম্মদের সভাপতিত্বে সভায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুপ্রু চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ দফতর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যেই দেশে আসছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন। এখন চলছে ভ্যাকসিন প্রয়োগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এরই মধ্যে সংক্রমণের হার ও জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনায় সারাদেশের কোন কোন জেলায় কত সংখ্যক ভ্যাকসিন যাবে তাও নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে প্রথম ধাপে পার্বত্য তিন জেলায় মোট টিকা পাবেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪৩১ জন। এর মধ্যে খাগড়াছড়িতে ৬৩ হাজার ৯৩০ জন, রাঙ্গামাটিতে ৬২ হাজার ৬২ জন এবং বান্দরবানে টিকা পাবেন ৪০ হাজার ৪৩৯ জন। আর এর মধ্যে সবচেয়ে কম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বান্দরবান জেলায়। জেলাটিতে ৪০ হাজার ৪৩৯ ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হবে। অপরদিকে কক্সবাজারে প্রথম ধাপে টিকা পাবেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৬৪ জেলাতেই প্রথম ধাপে পর্যায়ক্রমে টিকা দেয়া হবে। তবে ঢাকা জেলার জন্য রাখা হয়েছে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ। এখানে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ২০০ ডোজ দেওয়া হবে। জনসংখ্যার ঘনত্ব, সংক্রমণের হার প্রভৃতি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এ তালিকা তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়া হবে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হবে। আগে ২৫ লাখের কথা বলা হলেও এখন ৫০ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ দেয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যানে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে টিকা দেয়া হবে ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪৫ জনকে। চট্টগ্রাম বিভাগে দেয়া হবে ২৯ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৩ জনকে, রাজশাহী বিভাগে ১৯ লাখ ২৪ হাজার ৯২২ জনকে, রংপুর বিভাগে ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৯ জনকে, খুলনা বিভাগে দেয়া হবে ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪৬ জনকে, সিলেট বিভাগে দেয়া হবে ১০ লাখ ৩২ হাজার জনকে এবং বরিশাল বিভাগে আট লাখ ৬৬ হাজার ৯৯৪ জনকে টিকা দেয়া হবে। তিন রাউন্ডে এ জনগোষ্ঠী টিকা পাবেন।
দেশের ২৯ শতাংশ মানুষের জন্য এখন পর্যন্ত টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪০ ভাগ মানুষের টিকা নিশ্চিত করতে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা করা হবে। যারা টিকা নেবেন, তাদের প্রত্যেককে সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে।
যেসব জায়গায় টিকা দেয়া হবে: উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা/সদর হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, পুলিশ-বিজিবি হাসপাতাল ও সিএমএইচ, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল। এসব জায়গায় প্রথম ধাপের ৫০ লাখ ভ্যাকসিন দিতে সাত হাজার ৩৪৪টি দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি দলে দুজন সরাসরি ভ্যাকসিন দেবেন এবং বাকি চারজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অন্যান্য কাজ করবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু হবে ২৬ জানুয়ারি। টিকা আসার পর দুদিন তা বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে থাকবে। টঙ্গিতে বেক্সিমকোর দুটি ওয়্যারহাউজ রয়েছে। সেখান থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলায় টিকা পাঠিয়ে দেয়া হবে। প্রথমে যে ৫০ লাখ টিকা আসবে তার পুরোটাই দিয়ে দেয়া হবে। আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় চালান আসলে সেই ৫০ লাখ ডোজও পুরো দিয়ে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত এবং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ পাওয়ার জন্য গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুসারে প্রথম ধাপে প্রত্যেক মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা। এ মাসেই যার প্রথম চালান আসছে।
॥ বান্দরবান প্রতিনিধি ॥ বান্দরবানে ২১বছর বয়সী এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৩ যুবককে গ্রেফতার করেছে বান্দরবান সদর থানা পুলিশ। সুত্রে জানা যায়, বান্দরবান সদর থানাধীন ৪নং সুয়ালক ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড এর মেনপুং ম্রো এর খামারের পার্শে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সুত্রে আরো জানা যায়, ধর্ষীতার সাথে মোঃ রাসেদ নামে এক যুবকের রং নাম্বারে পরিচয় হয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে, পরে যুবতীকে প্ররোচনার মাধ্যমে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায় একটি খামার বাড়ী এলাকায়। সেখানে মো ঃ রাসেদ ও তার দুই বন্ধু পালাক্রমে যুবতীকে ধর্ষণ করে। এসময় যুবতীর চিৎকারে স্থানীয় জনতা মো.রাসেদ (২৩), মোঃ কায়সার (১৮) এবং ওমর ফারুক (১৮)কে আটক করে ভাগ্যকুল ক্লাবে নিয়ে যায় এবং স্থানীয় মেম্বারের সহায়তায় বান্দরবান সদর থানায় সোর্পদ করে।
বান্দরবান সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো.আব্দুল আজিজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(৩)/৩০ ধারায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে গনধর্ষন ও ধর্ষণে সহায়তার অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
॥ রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবান ॥ “ মানবতার সেবায় আমরা আছি, আমরা থাকব ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বান্দরবানে স্বেচ্ছায় রক্তদানকারি সংগঠন বান্দরবান ইয়ুথ্ ব্লাড ডোনার গ্রুপের ১ যুগপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে।
৩০ অক্টোবর (শুক্রবার) সকালে এই যুগপূর্তি উপলক্ষে বান্দরবান ইয়ুথ্ ব¬াড ডোনার গ্রুপের উদ্দ্যোগে অরুন সারকী টাউন হলে এক আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্টান অনুষ্টিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এসময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বান্দরবানকে মানবতার বান্দরবানে পরিনত করা সম্ভব। করোনার এই দুঃসময়ে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বিভিন্ন মানবিক সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে সহযোগিতার মাধ্যমে মানুষের ঘরে ঘরে বিভিন্ন সাহায্য পৌঁছে দিয়ে যে নজির স্থাপন করা হয়েছে তা সারাদেশের মধ্যে অন্যতম। এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, সকলে মিলে এক সাথে যেকোন কাজ করলে অসম্ভব কাজও সম্ভব হওয়ার মাধ্যমে সফলতা আসবেই।
অনুষ্টানে এসময় বান্দরবান ইয়ুথ্ ব্ল¬াড ডোনার গ্রুপের সভাপতি আহ্সানুল আলম রুমুর সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এন এ জাকিরের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আছাদ্দুজ্জামান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সিভিল সার্জন ডাঃ অংসুই প্রু মারমা, পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের সেক্রেটারী অমল কান্তি দাশ।
অনুষ্টানের শেষ পর্যায়ে করোনাকালীন এই দু:সময়ে বান্দরবানে মানবতার হাত বাড়িয়ে মানবিক সেবামুলক বিভিন্ন কাজ করায় বিভিন্ন সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবক, ডাক্তার, পুলিশ, সাংবাদিকসহ মোট ৪০টি সম্মাননা স্বারক প্রদান করেন বান্দরবান ইয়ুথ্ ব¬াড ডোনার গ্রুপ।
॥রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবান॥ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, পাহাড়ে সংষ্কৃতির বৈচিত্র রয়েছে। তাই সম্ভাবনাময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতির বিকাশে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দরকার। সরকারের পাশাপাশি সবার উচিত পাহাড়ের এসব শিল্পীদের সংস্কৃতি বিকাশে এগিয়ে আসা।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ইনষ্টিটিউট আয়োজিত অনলাইন প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
১১টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সম্মিলনে আয়োজিত অনলাইন ভিত্তিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, করোনা কালীন সময়ের সম্মুখ যোদ্ধাদের পাশাপাশি এই মহামারির সাথে লড়তে হয়েছে শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের। এরপরও শিল্পীরা মানুষের মনোবল সুদৃঢ় করার জন্য অবদান রেখেছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রতিমন্ত্রী বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনষ্টিউটে রক্ষিত উপজাতীদের সংস্কৃতি সামগ্রী পরিদর্শণ এবং বঙ্গবন্ধু কর্ণার শুভ উদ্বোধন করেন।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা’র সভাপতিত্বে পুরষ্কার ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার জেরিন আখতার বিপিএম, জেলা পরিষদ সদস্য সিং ইয়ং ম্রো, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ইনষ্টিটিউট পরিচালক মংনু চিং মার্মা সহ প্রমুখ।
পরে বান্দরবানে বসবাসরত ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুদের অংশগ্রহণে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ এর পর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন প্রতিমন্ত্রী।
॥ রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবান ॥ বান্দরবান পৌরসভার উদ্দ্যোগে পৌর এলাকার ৩টি ওয়ার্ডে ৯ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার ৭টি উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্ভোধন করা হয়েছে।
২৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ১০টায় বান্দরবান পৌর এলাকার হাফেজ ঘোনা, অফির্সার ক্লাব সংলগ্নে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফলক উম্মোচন করে এই ৭টি উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এসময় বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবীর সভাপতিত্বে উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.শফিউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.রেজা সরোয়ার, পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের সেক্রেটারী অমল কান্তি দাশ, পৌরসভার সচিব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মং সুই খই, পৌরসভার কাউন্সিলর সৌরভ দাশ শেখর, অজিত কান্তি দাশ, সালেহা বেগম, রাহিমা বেগম, উজলা তংচঙ্গ্যাসহ প্রমুখ।
উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্ভোধন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, বীর বাহাদুর কখনো পার্বত্যবাসীর সাথে বেইমানী করবে না, এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, পার্বত্যবাসীর ভালোবাসায় পরপর ছয়বারের নির্বাচিত এমপি হয়েছি এবং যখন যা ওয়াদা করেছি তা পালন করেছি, কাউকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিভ্রান্ত করিনি। এসময় পার্বত্য মন্ত্রী আরো বলেন, বান্দরবানসহ তিন পার্র্বত্য জেলার যে উন্নয়ন হচ্ছে তার প্রশংসার দাবীদার আমরা সকলে আর এই উন্নয়ন কাজে যারা বাঁধা প্রদান করে এবং উন্নয়ন কাজ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে মজা পায় জনগণ তাদের চিনে। এসময় মন্ত্রী জনগণকে নিজ নিজ এলাকার উন্নয়ন কাজের প্রতি নজর রাখার জন্য অনুরোধ করেন এবং কোন কাজে গাফিলতি পেলে মন্ত্রীকে সেই বিষয়ে অবগত করার জন্য আহবান ও জানান।
ইউ জি আই আইপি’র অর্থায়নে এই ৭টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে বান্দরবান পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ডে। আর এই উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পাকা সড়ক, আরসিসি ড্রেন, আরসিসি সিঁড়ি, আরসিসি রি-টেইনিং ওয়াল এবং আরসিসি বক্স কালভার্ট উন্নয়ন, আর এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে পৌরবাসির অনেক অসুবিধা দুর হবে বলে জানান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী।
‘কাউকে বাদ দিয়ে আমরা বাংলাদেশের কথা চিন্তা করিনা’ বান্দরবানে চুক্তি প্রসঙ্গে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
॥রাহুল বড়–য়া ছোটন/অনুপম মার্মা,বান্দরবান ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমপি বলেছেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি পুর্ণ বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। আমরা চাই সারা বাংলাদেশকে নিয়ে একসঙ্গে উন্নয়ন করতে। আমরা সবাই মিলেই বাংলাদেশ। কাউকে বাদ দিয়ে আমরা বাংলাদেশের কথা চিন্তাও করিনা। সবাই ভাই ভাই হয়ে আমরা চলতে চাই। বৃহস্পতিবার দুপুরে বান্দরবানের থানচি থানা ভবনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা সীমান্ত রক্ষা ও সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য সীমান্ত সড়কের কাজ করছি। এই কাজ সম্পন্ন হলে বান্দরবানসহ পাহাড়ের উন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে। আগামী প্রজম্ম বান্দরবানের পর্যটনের প্রতি আকৃষ্ট হবে। এর আগে মন্ত্রী হেলিকপ্টার যোগে থানচি বিজিবি সদর দপ্তরে অবতরণ করলে তাঁকে ফুলের তোড়া নিয়ে বরণ করে নেন বিজিবির বান্দরবান সেক্টরের কমান্ডার কর্ণেল নাহিদুল ইসলাম গাজী। পরে মন্ত্রী নব নির্মীত থানা ভবন এলাকায় পৌছলে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন ও বান্দরবান পুলিশ সুপার জেরিন আখতার মন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, বান্দরবান জেলা প্রশাসক মোঃ দাউদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল হক মৃদুল উপস্থিত ছিলেন। বিকালে মন্ত্রী বাগলাই রোড় পরিদর্শন করেন। শুক্রবার সকালে রেমাক্রি পরিদর্শন শেষে বিকালে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে মন্ত্রীর।
॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান॥ বান্দরবানের থানচির দূর্গম নাফাখুমে পর্যটকের যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আরিফুল হক মৃদুল।
মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।
তিনি জানান, গত ৩ অক্টোবর বান্দরবানের থানচি উপজেলার দূর্গম নাফাখুম ঝরনায় গোসল করতে গিয়ে ঢাকার পর্যটক মারা যায়। এর পর থেকে নাফাখুমে পর্যটক যাতায়াত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও থানচির দূর্গম এলাকায় প্রচুর বৃষ্টি, নদীতে পানি বৃদ্ধি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
আগমনকে কেন্দ্র করে পর্যটক যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে।
তবে পর্যটকরা চাইলে থানচির রেমাক্রি পর্যন্ত বেড়াতে পারবেন বলে জানান ইউএনও।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর সকালে ঢাকার উত্তরার জাকারুল ইসলাম কানন নামে এক পর্যটক অপর দুই জন পর্যটককে রেমাক্রি খাল থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে খালে নিখোঁজ হন। পরের দিন তার লাশ উদ্ধার করে বিজিবি ও পুলিশ।
॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ “ শিশুর সাথে শিশুর তরে ,বিশ্ব গড়ি নতুন করে ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে বান্দরবানে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৫ অক্টোবর) সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও শিশু একাডেমির আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে এই অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল কুদ্দুস, সিভিল সার্জন ডা.অং সুই প্রু মারমা, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শিলাদিত্য মুৎসুদ্দিসহ বান্দরবানের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও শিশু কিশোররা।
এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম বলেন, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, তাই এই পৃথিবীকে তাদের বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এসময় তিনি আরো বলেন, করোনার এই মহামারীতে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, কারন আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
সভা শেষে শিশুদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এসময় কবিতা ও বিভিন্ন সংগীত পরিবেশন করে শিশু শিল্পীরা।
বান্দরবান শিশু একাডেমির আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আগামী ১১ অক্টোবর সমাপ্তি হবে এই বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ।